একটি যন্ত্রের ভেতর ফুঁ দিয়ে মাত্র এক মিনিটে জানা যাবে দেহে করোনাভাইরাস বাসা বেঁধেছে কিনা। সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ সমপ্রতি নিঃশ্বাস পরীক্ষার মাধ্যমে কোভিড-১৯ শনাক্তের এই প্রযুক্তির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। ব্রিথোনিক্স নামে স্থানীয় একটি স্টার্টআপ কোম্পানি যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেছে। খবর বিডিনিউজের।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) স্পিন-অফ কোম্পানি ব্রিথোনিক্স জানায়, তারা এখন তাদের যন্ত্রটি পরীক্ষা করে দেখার জন্য সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে। মালয়েশিয়া সীমান্ত সংলগ্ন একটি শহরে এই পরীক্ষা চলছে।
সিঙ্গাপুরে বর্তমানে কোভিড-১৯ এর অ্যান্টিজেন র্যাপিড টেস্ট বাধ্যতামূলক। তার পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রের এই পরীক্ষাও চলবে। এই পরীক্ষায় ৫-২০ সিঙ্গাপুরি ডলার খরচ পড়বে। ব্রিথোনিক্সের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছর তারা সিঙ্গাপুরে যে পাইলট ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছে সেখানে ৯০ শতাংশের বেশি সঠিক ফল পাওয়া গেছে।
দ্য হেলথ সায়েন্সেস অথোরিটির ওয়েবসাইটে ব্রিথোনিক্সের কোভিড-১৯ পরীক্ষার যন্ত্রের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, সিঙ্গাপুরে এই প্রথম এ ধরনের যন্ত্র প্রাথমিক পরীক্ষার অনুমোদন পেয়েছে। যন্ত্রটি এমনভাবে তৈরি যে, একজন ব্যবহারের পর সেটির ‘মাউথপিস’ ফেলে দেওয়া হয় এবং যন্ত্রের মাধ্যমে কেউ সংক্রমিত না হওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। যন্ত্রের ভেতর ফুঁ দেওয়ার পর নিশ্বাসের সঙ্গে থাকা উপাদান পরীক্ষা করে ফুঁ দেওয়া ব্যক্তি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত কিনা তা জানা যাবে।
ব্রিথোনিক্স জানায়, তারা দেশে এবং দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে তাদের যন্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছে এবং অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইন্দোনেশিয়া এবং নেদারল্যান্ডসেও কোভিড-১৯ পরীক্ষায় একই ধরনের যন্ত্রের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে। সিঙ্গাপুরে কয়েক মাস ধরে করোনার দৈনিক শনাক্ত প্রায় শূন্যে নেমে গিয়েছিল। কিন্তু সমপ্রতি সেখানে আবার সংক্রমণ বিস্তার লাভ করতে শুরু করেছে। ভারতে প্রথম শনাক্ত করোনার অতি সংক্রামক ধরনটিও সেখানে পাওয়া গেছে। সোমবার সিঙ্গাপুরে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত ২৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। সেখানে জনসমাগমের উপর আবারও এক মাসের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
