মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী আদর্শিক চেতনায় পরিপূর্ণ ঋদ্ধ বর্তমান সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেশকে অদম্য অগ্রগতিতে এগিয়ে নিয়ে বিশ্বপরিমন্ডলে অনন্য উচ্চতায় সমাসীন করেছেন। জনগোষ্ঠীর বৃহত্তর অংশ গরীব মেহনতি জনতার সুগভীর দরিদ্রতাকে উৎপাটন করে একটি ক্ষুধা–দারিদ্র্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণের যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন; তারই আলোকে তাঁর সুযোগ্য কন্যা ইতিমধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপামর জনগণের ঐক্যবদ্ধতায় দেশকে ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বের কাতারে প্রতিস্থাপনে প্রতিনিয়ত রোডম্যাপ বা রূপকল্প প্রণয়ন–কার্যকর করার দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। দেশের প্রায় প্রতিটি খাতের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবাখাত বিশ্বব্যাপী প্রশংসনীয় সফলতা অর্জন করেছে। গণমাধ্যম সূত্রমতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম খরচে মৌলিক চিকিৎসা চাহিদা পূরণ, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ–নিয়ন্ত্রণ–নির্মূল, অসংক্রামক রোগসমূহের ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে ব্যাপক উদ্যোগ, পুষ্টি উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সূচকসমূহের বিপুল অগ্রগতিতে স্বাস্থ্য অবকাঠামো খাতে অভূতপূর্ব অর্জন বাংলাদেশকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে।
জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের অনুপম স্বাক্ষর। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশব্যাপী বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সুযোগ–সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। হৃদরোগ, কিডনি, লিভার, ক্যান্সার, নিউরো, চক্ষু, বার্ণ, নাক–কান–গলাসহ বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল স্থাপন অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি জেলায় ন্যূনতম একটি করে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। সব হাসপাতালে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমান সরকার দেশে ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। করোনা অতিমারির দু:সহ প্রাদুর্ভাবের সূচনাকাল থেকে অদ্যাবধি সংক্রমণ বিস্তার ও প্রাণ সংহারের দৃশ্যপটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনার প্রথম–দ্বিতীয় ও তৃতীয় তরঙ্গের আঘাত সুচারু পরিকল্পনায় প্রতিরোধ–প্রায়শ নির্মূল বিশ্বনন্দিত। করোনা যুদ্ধজয়ের আপতিক গৌরবগাঁথা দেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ অবস্থানে উন্নীত করেছে।
১৭ মে ২০২৩ জাতিসংঘ সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিত্বে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক মডেল প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবনী নেতৃত্বকে ‘দ্যা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সেবার মডেল রূপে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশসহ ৭০টি দেশের এই বৈশ্বিক স্বীকৃতির জন্য উত্থাপিত প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হওয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিক এখন বৈশ্বিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেলো। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে দেশ–দেশবাসির ভাবমূর্তি অধিকতর উজ্জ্বল করবে– নিঃসন্দেহে তা বলা যায়। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ রেজুলেশনের অনুমোদনকে ২০৩০ সালের মধ্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় এক অবিস্মরণীয় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘রেজুলেশনটির সফল বাস্তবায়ন কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
দেশের আপামর জনগণ সম্যক অবগত আছেন, বঙ্গবন্ধুর তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেওয়ার স্বপ্নের সফল ও সার্থক বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সব মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে অভিনব ধারণায় এ অনন্য কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করেন। যা ইতিমধ্যে দেশের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় সরকারের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে অকল্পনীয় বিপ্লব ঘটিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার প্রতি ৬ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে মোট ১৪ হাজার ৪৯০টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামে ক্লিনিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়। ২০০১ সালের মধ্যেই নির্মিত ১০ হাজার ৭২৩টি অবকাঠামো থেকে প্রায় ৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম সচল করা হয়।
দুঃখজনক হলেও সত্য; ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনে রাজনৈতিক গতিধারায় জন–গণকল্যাণকর এই সফল স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমটি ২০০৮ সাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল। ফলে ক্লিনিকের মূল্যবান চিকিৎসা সামগ্রীসহ ভবনগুলো পরিত্যক্ত–নষ্ট হয়ে যায়। ২০০৯ সালে পুনরায় দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আবার কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু করা হয়। ঐ সময় ৫ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে ১৩ হাজার ৫০০ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার–সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয়া হয়। পরিত্যক্ত–ব্যবহার অনুপযোগী ভবনগুলো সংস্কার ও নতুন নতুন ভবন নির্মাণে দ্রুততর সময়ের মধ্যে ক্লিনিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। গণমাধ্যম সূত্রমতে, বর্তমানে ১৪ হাজার ২০০টি ক্লিনিক চালু আছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থাকে আইনি কাঠামোয় ঢেলে সাজাতে ২০১৮ সালে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট–২০১৮’ নামে আইন প্রণীত যা ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর মহান সংসদে পাশ হয়। অল্প সময়ের ব্যবধানে ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের প্রজ্ঞাপন হলে একই বছর উপদেষ্টা পরিষদের বিধান রেখে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড গঠিত হয়। সভাপতি হিসেবে যার নেতৃত্বে আছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
‘শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ’ স্লোগানে পরিচালিত এসব ক্লিনিকে বিনামূল্যে প্রাথমিকভাবে সকল রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ক্লিনিকগুলোতে প্রদত্ত সেবাগুলোর মধ্যে আছে– সার্বিক প্রজনন স্বাস্থ্য পরিচর্যার আওতায় গর্ভবতী মাহিলাদের প্রসব পূর্ব এবং পরবর্তী সেবা, যক্ষ্মা–ডিফথেরিয়া–হুপিং কফ–পোলিও–ধনুষ্টংকার–হাম–হেপাটাইটিস বি, নিউমোনিয়াসহ ইত্যাদি রোগের প্রতিষেধক এবং শিশু ও কিশোর কিশোরীদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা, মহিলা ও শিশুদের অপুষ্টি দূরীকরণ, ম্যালেরিয়া–যক্ষ্মা–কুষ্ঠ–কালাজ্বর–ডায়রিয়াসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থা–চিকিৎসা সুবিধা, সাধারণ জখম–জ্বর–ব্যথা–কাটা–পোড়া–দংশন–বিষক্রিয়া–হাঁপানি–চর্মরোগ–ক্রিমি এবং চোখ–দাঁত–কানের সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে লক্ষণ ভিত্তিক প্রাথমিক চিকিৎসা, অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সংক্রান্ত বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ–বিতরণ, জটিল রোগীদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক সেবা প্রদানপূর্বক রেফার করা ইত্যাদি। প্রারম্ভিক সময়ে ক্লিনিকে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা না থাকলেও বর্তমানে দেশের প্রায় ৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব সেবা দেওয়া হচ্ছে।
অসচ্ছল ও দরিদ্র ডায়াবেটিক রোগীরা বিনামূল্যে ইনসুলিনসহ প্রায় ৩২ ধরনের ওষুধ পাচ্ছে। ক্লিনিকে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকারও বেশি ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী বাবদ বছরভিত্তিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ২৪১ কোটি থেকে ২৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বিনামূল্যে সেবা সহজ করার জন্য কর্মরত সকল সিএইচসিপিকে দেওয়া হয়েছে ল্যাপটপ ও মডেম। বর্তমানে সব কমিউনিটি ক্লিনিক হতে ডিজিটালি অনলাইন রিপোর্টিং এবং মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে সিসি কর্ম এলাকায় অবস্থানরত খানার প্রত্যেক সদস্যের ডিজিটালি হেলথ ডাটা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১১ লাখ গ্রামীণ জনগণকে হেলথ আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। বিগত জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত ক্লিনিকগুলোতে মোট ভিজিট হয়েছে ১০ কোটি ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭২৯টি। ১০ কোটিও বেশি মানুষ পেয়েছে বিনামূল্যের এই স্বাস্থ্যসেবা। প্রতিদিন প্রতিটি ক্লিনিকে ৭০ থেকে ৮০ জনেরও বেশি রোগি স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকে যার ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি রোগীকে প্রাথমিক সেবা দিয়ে জরুরি ও জটিলতার কারণে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
২৫ এপ্রিল ২০২৩ কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রদত্ত বাণীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভাবনীয় সম্মান বয়ে আনবে। দেশের স্বাস্থ্য খাতের সবক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যেই আমরা বাংলাদেশকে “স্মার্ট বাংলাদেশ” হিসেবে গড়ে তুলবো, ইনশাল্লাহ।’ তিনি আরও বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা প্রবর্তন করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই দেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে তৎকালীন মহকুমা ও থানা পর্যায়ে স্বাস্থ্য অবকাঠামো গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।’ স্বাস্থ্যখাতে বর্তমান সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে অর্জিত সাফল্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ এবং স্বাস্থ্যখাতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এমডিজি, সাউথ–সাউথ, গ্যাভি ও ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কারের মতো অনেক সম্মানজনক আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টিও তিনি বাণীতে উল্লেখ করেছেন।
এতসব প্রশংসনীয় উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে চলমান স্বাস্থ্য কার্যক্রম সম্পর্কে গণমাধ্যমে অনেক সময় নেতিবাচক কিছু বিষয় উত্থাপিত হয়ে থাকে। সময়মত ডাক্তার–প্যারামেডিকস বা সেবাদানকারীর উপস্থিত না থাকার বিষয়টি জোরালোভাবে প্রচারিত। জেলা–উপজেলার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নিয়মিত তদারকির ক্ষেত্রে চরম অবজ্ঞা–অবহেলা স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে গভীর অসন্তোষ তৈরি করে। কোন ধরনের নোটিশ বা অবহিতকরণ প্রক্রিয়া চালু না রেখে দীর্ঘ সময় ধরে সেবা কার্যক্রম থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এই বিশেষ স্বীকৃতি শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নয়; বিশ্বপরিমন্ডলে জাতিকে উচু মাত্রিকতায় সুমহান মর্যাদায় সমাসীন করেছে। জাতি হিসেবে আমাদের গৌরবদীপ্ত এই স্বীকৃতিকে যেকোন মূল্যে অক্ষুণ্ন রাখতেই হবে।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়