জ্বর ও সর্দির ওষুধ খাইয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করেন। একপর্যায়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, এমনকি তালাকের হুমকিও দেয়া হয়। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে বিদেশে পাচারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নিজের স্ত্রীর সাথে অমানবিক এসব কাজ করেছেন নগরীর লালদীঘি পাড়ের ট্রাভেল এজেন্সির মালিক এস এম নাছির উদ্দিন। এমন সব অভিযোগ তুলে ধরে গতকাল চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ খন্দকারের আদালতে তার বিরুদ্ধে স্ত্রী রুবি আক্তার একটি মামলার আবেদন করলে ম্যাজিস্ট্রেট তা আমলে নেন এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন।
রুবি আক্তার লোহাগাড়া উপজেলার পশ্চিম কলাউজানের বাসিন্দা। তার আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ আজাদীকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্ত্রীর পাশাপাশি অন্য নারীদেরও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করেছেন ট্রাভেল এজেন্সির মালিক এস এম নাছির উদ্দিন। মূলত এতে সহায়তা না করায় স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। একপর্যায়ে কৌশলে রুবি আক্তারের গর্ভের সন্তান নষ্ট করা হয়। জ্বর, সর্দির ওষুধের নাম করে তাকে ভ্রূণ হত্যার ওষুধ খাওয়ানো হয়।
তিনি বলেন, ভ্রূণ হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের ঘটনা আমাদের সমাজে হরহামেশা শোনা যায়। এসব কিছু আদালতের নজরে আনা হয়েছে, যেন এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর কেউ ঘটাতে সাহস না পায়।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ১৭ জুন রুবি আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন ট্রাভেল এজেন্সির মালিক এস এম নাছির উদ্দিন।