আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় খুলনার আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামীকাল শুক্রবার (১৪ মে)।
সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ এক মাস ধরে সিয়াম সাধনার ইতি ঘটলো। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে শুভেচ্ছা বিনিময়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাংলানিউজ
কালকের দিনটি শুরু হবে ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে।
করোনা পরিস্থিতিতে ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিভিন্ন মসজিদে ইতোমধ্যে সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের নির্দেশ’ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পর্যায়ক্রমে সকাল ৭টা, সকাল ৮টা, সকাল ৯টা, সকাল ১০টা এবং সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে এসব জামাত।
এছাড়াও সারাদেশের প্রায় সব মসজিদেই অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত।
নামাজের পর প্রত্যেক মুসলমান একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন। শ্রেণী-বর্ণ-বয়স নির্বিশেষে উদযাপিত হবে সেই উৎসব।
এদিকে, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে আজ বৃহস্পতিবার।
সাধারণত সৌদি আরবের একদিন পর বাংলাদেশে চাঁদ দেখা যায়। এ বছর বাংলাদেশে রমজানও শুরু হয়েছিল সৌদি আরবের একদিন পর।
গতকাল বুধবার (১২ মে) সন্ধ্যা সাতটায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা বসে।
সেই সভায় চাঁদ দেখা কমিটির পক্ষ থেকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, “সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশের কোনো জায়গা থেকে বুধবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সেই হিসাবে রমজান ৩০টি পূর্ণ করে আগামী ১৪ মে শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।”