খাতুনগঞ্জে জিরা–এলাচের বাজারে এখনো রয়েছে ট্রেডিং (হাতবদল) ব্যবসার প্রভাব। বাইরে এক কেজি পণ্যও ডেলিভারি না করে কেবল নিজেদের মধ্যে হাতবদল করে গরম মসলার বাজার অস্বাভাবিক করে তুলছেন এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। যাদের বেশিরভাগই খাতুনগঞ্জে তেল–চিনির স্লিপ বেচাকেনায় জড়িত। খাতুনগঞ্জের মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বলা যায়, ব্যবসায়ীদের এক কেজি পণ্যও বাইরে বেচাকেনা হয়নি। কিছু ভ্রাম্যমাণ মৌসুমী ব্যবসায়ী ও একশ্রেণীর অসাধু মসলা ব্যবসায়ী ডিও (ডেলিভারি স্লিপ) বেচাকেনার মাধ্যমে ইচ্ছেমতো বাজার উঠানামা করাচ্ছেন। যা প্রকৃত মসলা ব্যবসায়ীদের ক্ষতির কারণ হয়ে উঠেছে।
খাতুনগঞ্জের মসলার বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে এলাচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২ হাজার ২২০ টাকা, জিরা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০ টাকা, গোল মরিচ ৬১০ টাকা, দারুচিনি ২৯৫ টাকা এবং লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩৪০ টাকায়। খাতুনগঞ্জের কয়েকজন গরম মসলা ব্যবসায়ী জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে গরম মসলার বাজার ঊর্ধ্বমুখী। তবে আমাদের দেশে যে পরিমাণ গরম মসলা মজুদ আছে, সে অনুপাতে বাজারে চাহিদা নেই। তাই এখন নতুন করে কোনো ব্যবসায়ী বাড়তি দরে গরম মসলা আমদানির করার চিন্তা করবেন না। সমপ্রতি এলাচ কিংবা জিরার দাম বাড়ার পেছনে বাজার চাহিদা কিংবা সরবরাহ সংকটের কারণে বাড়েনি।
খাতুনগঞ্জের মসলা আমদানিকারক হাজী জসিম
ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন বলেন, গত ক’দিন ধরে এলাচের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী। তবে মাঝখানে জিরার বাজার কমে গিয়ে আবারও বেড়েছে। বাজারে বেচাকেনা একদম নাই। এখন দাম উঠানামা করছে মূলত ট্রেডিংয়ের কারণে। বাইরে কোনো গরম মসলা ডেলিভারি এক সপ্তাহ ধরে হয়নি।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন আজাদীকে বলেন, আমাদের দেশে গরম মসলার কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়িয়েছেন। দাম এক সপ্তাহে বাড়ছে তো আরেক সপ্তাহে কমছে। গরম মসলার বাজার নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী জুয়া খেলায় মেতে উঠেছে।