আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে বোতলজাত তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলপিজির দাম ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এলপিজির নতুন এই দাম ঠিক করে দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন দামে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিকেজি এলপিজি ৮৩ টাকা ৯২ পয়সায় বিক্রি হবে। আগের ১০২ টাকা ৯১ পয়সা থেকে ১৮ টাকা ৯৯ পয়সা কমানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের। বিইআরসি বলছে, সৌদি আরামকো জুন মাসের জন্য প্রোপেন টন প্রতি ৪৫০ ডলার ও বিউটেন প্রতি টন ৪৪০ ডলার দাম নির্ধারণ করেছে। ফলে মে মাসের এই দুই উপকরণের গড় দাম প্রতিটন ৫৫৫ ডলার থেকে কমে ৪৪৩ দশমিক ৫০ ডলার হয়েছে। সেই হিসাবে বেসরকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি এলপিজির মূসকসহ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯ টাকা ৪৮ পয়সা। আর ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ধরা হয়েছে ১০৭৪ টাকা।
আগের মাসেই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় কেজিতে ৪ টাকা ৭৪ পয়সা বাড়ানো হয়েছিল। ওই মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ মূল্য ১২৩৫ টাকা ছিল। সেই হিসাবে দাম কমেছে ১৬১ টাকা। রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে বাসাবাড়িতে সরবরাহ করা এলপিজির দাম মূসকসহ ৮৬ টাকা ২৫ পয়সা।
জুনে ভোক্তা পর্যায়ে যানবাহনের জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিলিটার মূসকসহ ৫০ টাকা ৯ পয়সা।