নাসিরাবাদ স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় এবং আম্বিয়া গ্রুপের আর্থিক পৃষ্টপোষকতায় আয়োজিত এমেচার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে আগ্রবাদ মাস্টার্স এবং চিটাগাং মাস্টার্স । গতকাল সাগরিকাস্থ মহিলা কমপ্লেঙ মাঠে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের প্রথম সেমি ফাইনালে আগ্রাবাদ মাস্টার্স ২৫ রানে ওল্ড ব্রাইট এসোসিয়েশনকে পরাজিত করে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। অপর সেমিফাইনালে চিটাগাং মাস্টার্স ৩৯ রানে নাইনটিজ উইলোকে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নেয়।
প্রথম সেমিফাইনালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে আগ্রাবাদ মাস্টার্স। সুমন সাহা এবং মামুনের ১০৪ রানের পার্টনারশীপের উপর ভর করে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সুমন সাহা ২৫ বলে পাচঁটি ছয় এবং একটি চারের সাহায্যে ৫৯ রান করেন। আর মামুন পাচঁটি ছয় ও একটির চারের সাহায্যে ৫৮ রান করেন। এছাড়া ফারুক টিটো ১৩ বলে করেন ২২ রান। ওবিএ এর বোলারদের মধ্যে সাফকাত সানজিম ২১ রানে ২টি এবং মং ১৮ রানে ২টি উইকেট লাভ করেন। ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওবিএ ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের পক্ষে ইমরান ৩৭, হারুন ১৯ এবং সাফকাত করেন ২৬ রান । আগ্রাবাদ মাস্টার্সের পক্ষে সুমন ৩টি, ইশতিয়াখ এবং জামশেদ ২টি করে উইকেট লাভ করেন। অলরাউন্ড নৈপূন্যের জন্য ম্যাচ সেরা হয়েছেন আগ্রাবাদ মাস্টার্সের সুমন সাহা । তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন নাসিরাবাদ স্পোর্টিং ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সামু।
একই মাঠে অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেয় চিটাগাং মাস্টার্স। শুরুতে ২টি উইকেট হারালেও নাঈম, সাবিব ও শেষ দিকে রিয়াদের ঝড়ো ইনিংসের কল্যানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান করে চিটাগাং মাস্টার্স। সাবিব ৫১, নাঈম ৩৩ এবং রিয়াদ ১৩ বলে করেন ৩২ রান । নাইনটিজ উইলোর কামাল এবং পঙ্কজ ২ টি করে উইকেট লাভ করেন। ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রিপনের উইকেট হারায় নাইনটিজ উইলো। একপর্যায়ে ৩০ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত রানা এবং পায়েল মিলে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করলেও ১৮ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান করতে সক্ষম হয় নাইনটিজ উইলো । দলের পক্ষে রানা ৪৭ এবং পায়েল ১৬ রান করে আউট হন। চিটাগাং মাস্টার্সের নাঈম বল হাতেও ছিলেণ দুর্দান্ত। মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন নাঈম। সুমন ২৩ রানে নেন ২টি উইকেট । নাঈম তার অলরাউন্ড নৈপূন্যের জন্য ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সাবেক ক্রিকেটার এবং ব্র্যাক ব্যাংক কাজির দেওড়ি শাখার ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম।