চকরিয়ার মালুমঘাটে একসঙ্গে পাঁচ ভাই নিহতের ঘটনায় এখনো গ্রেপ্তার হয়নি চালক। ঘটনাস্থল মহাসড়কে হওয়ায় নিয়মানুযায়ী মামলার তদন্ত কার্যক্রম, আসামি গ্রেপ্তারসহ সার্বিক বিষয়ে দায়-দায়িত্ব হাইওয়ে পুলিশের। এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেই দিনের ভয়াবহতায় প্রাণ হারানো পাঁচ সহোদরের বিধবা স্ত্রীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার তারা বলেন, যে গাড়ির চালক আমাদেরকে বিধবা করেছে আমরা তার চেহারা দেখতে চাই। আমরা তার কঠিন শাস্তি চাই। কিন্তু পুলিশ তাকে এখনো ধরতে পারেনি। এই প্রসঙ্গে মহাসড়কের মালুমঘাট হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) মো. সাফায়েত হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, মর্মান্তিক এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় রুজুকৃত মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ঘাতক মিনি পিকআপের চালককে গ্রেপ্তারে আমাদের জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। একই সাথে থানা পুলিশ এবং র্যাবও চালককে গ্রেপ্তারের বিষয়ে গুরুত্বের সাথে কাজ করছে। এদিকে শোকার্ত পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দিতে গতকাল দুপুরে হাসিনাপাড়ায় যান চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম, থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি, অপারেশন অফিসার রাজীব চন্দ্র সরকার। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
এ সময় চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ‘সবার বিবেককে নাড়া দেওয়া নির্মম এই ঘটনায় আমরাও সমব্যথী। আশা করছি, অতিদ্রুতই ঘাতক মিনি পিকআপের চালক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জালে আটকা পড়বে। পরিবারের দাবি অনুযায়ী পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ওসি বলেন, আগে আমরা চালককে গ্রেপ্তার করি। এর পর সবকিছুই বেরিয়ে আসবে। নিহত পাঁচ ভাইয়ের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান আজ: এদিকে নিহত পাঁচ ভাইয়ের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে আজ শুক্রবার। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী এই কর্ম সম্পাদন করবেন নিহতদের শিশুপুত্ররা। এজন্য গতকাল বৃহস্পতিবার ক্ষৌরকর্মাদি সম্পন্ন হয়। একইসাথে মহাশ্মশানে গিয়ে প্রত্যেক চিতায় মাটি দিয়ে ভরানোরও কাজ করেন শিশুপুত্ররা। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
