ভূমিকা- ক্রাউন পাবলিশিং থেকে সমপ্রতি প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার লেখা স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ ‘আ প্রমিজ্ড্ল্যান্ড’। এই গ্রন্থের তৃতীয় অধ্যায়ের প্রথম পর্বে তিনি লিখেছেন, আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হিসেবে জয়ী হবার পরে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশের আমন্ত্রণে প্রথম যেদিন তিনি ওভাল ওফিসে গিয়েছিলেন, সেদিনের স্মৃতিকথা। এই অংশটুকু অনুবাদ করেছেন ফারহানা আনন্দময়ী।
সেনেটর হিসেবে আমি যদিও বেশ কয়েকবারই হোয়াইট হাউজে গিয়েছি, তবে ওভাল অফিসের ভেতরে কখনো ঢুকিনি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবার আগে। যেমনটা ভেবেছিলাম, তার চেয়ে আকারে-আয়তনে বেশ ছোটই ওভাল অফিসের কক্ষটি। কিন্তু সিলিং অনেক ঊঁচুতে, যা কক্ষটিকে এক অভিজাত চেহারা দিয়েছে। বিভিন্ন ফটো আর নিউজ-রীলগুলো দারুণ সুন্দর মানিয়ে গেছে এর লম্বাকৃতি দেয়ালজুড়ে। আইভি গাছ দিয়ে সাজানো ফায়ারপ্লেসের উপরে জর্জ ওয়াশিংটনের অবয়বের ছবি টাঙানো; বড়ো দু’টো আরামদায়ক চেয়ার, সোফার মতোই, এর সামনে রাখা। রাষ্ট্রপতি আর উপ-রাষ্ট্রপতি এই চেয়ার দু’টোয় বসে আলাপ করেন। আর বিদেশি কোনো রাষ্ট্রীয় অতিথি এলে এখানে বসেন। সামান্য গোলাকৃতি দেয়ালে দু’দিকে দুটো দরজা; একটা হলওয়ের দিকে, অন্যটা ‘আউটার ওভাল’এর দিকে, যেখানে রাষ্ট্রপতির বিভিন্ন জিনিস রাখা থাকে। আরো একটি দরজা আছে, সেটা চলে গেছে রাষ্ট্রপতির ভেতরের ছোট কার্যালয় আর ব্যক্তিগত খাওয়ার ঘরের দিকটায়। আরো আছে মৃত সব নেতাদের ছবি, রেমিংটন এর সেই বিখ্যাত ব্রোঞ্জের কাউবয় মূর্তি, ঐতিহ্যবাহী ‘গ্র্যান্ডফাদার ক্লক’ আর দেয়ালজোড়া বুকশেল্ফ্। ডিম্বাকৃতির পুরু একটি কার্পেট দিয়ে মেঝেটি ঢাকা, যার মাঝখানে ঈগলের ছবি আঁকা। ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে রাণি ভিক্টোরিয়ার দেয়া টেবিলটা রাষ্ট্রপতির টেবিল হিসেবে আছে। সেই টেবিলটায় আছে অনেকগুলো লুকোনো ড্রয়ার, ছোট তাক আর পায়ের দিকটায় ছোট একটা ফাঁকা জায়গা আছে, যেখান দিয়ে ছোট একটা শিশু অনায়াসে হামাগুড়ি দিয়ে এপাশ থেকে ওপাশে যেতে পারে।
ওভাল অফিসের একটা বিষয় ক্যামেরা ঠিকঠাক ধারণ করতে পারে না, তা হলো, এই কক্ষের আলোর খেলা। কক্ষটি যেন আলোয় ধোয়া! পরিষ্কার জলহাওয়ার দিনগুলোতে পূর্ব এবং দক্ষিণ প্রান্ত থেকে বড়ো বড়ো জানালা দিয়ে এমনভাবে আলো প্রবেশ করে এখানে, প্রতিটা জিনিসের ওপরে সোনালি আভা ফুটে ওঠে। যতই সন্ধ্যা নামতে থাকে, আলো তার রঙ বদল করতে থাকে। সেই সোনালি উজ্জ্বল আভা স্তিমিত হতে থাকে, হয় আবছায়া। আবার যেদিন বাইরে বৃষ্টি বা বরফ ঝরে, দক্ষিণের প্রাঙ্গন ধোঁয়া-ধোঁয়া হয়ে ওঠে, সেদিন ওভাল অফিস কেমন বিষাদী রঙ নেয়। হালকা নীলাভ আলো, বাইরের নিষ্প্রাণ প্রাকৃতিক আলোর সাথে কক্ষের বৈদ্যুতিক আলো মিলেমিশে দেয়ালে আর সিলিং-এ অন্যরকম আবহ তৈরি করে। এই ওভাল অফিসের আলোগুলো কখনোই নেভানো হয় না, এমনকি গভীর রাতেও এগুলো একইরকম জ্বলতে থাকে। বাতিঘরের ঘূর্ণায়মান টর্চের আলোর মতো এই কক্ষের আলোও সারারাত অন্ধকারকে জাগিয়ে রাখে।
আমার কর্মময় জীবনের আটটি বছর আমি কাটিয়েছি এই অফিসে। অনেক স্মৃতি জমানো এখানে। গভীর মনযোগে ইনটেলিজেন্স রিপোর্টস শুনেছি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় প্রধানদেরকে আতিথেয়তা দিয়েছি, কংগ্রেসের সদস্যদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রবোধ দিয়েছি, বিরোধীদলীয় সদস্যদের সাথে দ্বন্দ্বযুদ্ধ করেছি, আর অসংখ্য দর্শনার্থীদের সাথে ফটো তুলেছি… এভাবেই দিনের বেশিরভাগ সময়টা কেটে যেত আমার। ওভালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে হাসিঠাট্টাও যেমন করতাম, কখনো কখনো তাদের দ্বারা নিন্দিতও হয়েছি! এক একটা সময় এমনও হয়েছে, গলার কাছে জমে-ওঠা কান্নাকে গিলে ফেলেছি, পরিস্থিকে সামলে নিতে হয়েছে আমাকে। কোন সময়টা বেশ আরামে কাটতো, বলবো? যখন ডেস্কের কোণায় গিয়ে আমি বসতাম বা চেয়ারে বসে পা দুটো ডেস্কের উপরে উঠিয়ে দিতাম, কিংবা শিশুদের সাথে মেঝেতে বসে একটু গড়াগড়ি খেলতাম। ক্লান্ত হলে কখনো পাশের সোফাটায় গিয়ে একটু ঘুমিয়েও পড়েছি কখনো কখনো। মাঝেমাঝে ফ্যান্টাসি জগতে চলে যেতাম আমি; কল্পনা করেছি পুবদিকের দরজাটা দিয়ে বেরিয়ে, ড্রাইভওয়ের পাশ দিয়ে প্রহরীদের কক্ষ এড়িয়ে, লোহার গেটটা পেরিয়ে, সোজা জনবহুল রাস্তায় নেমে গিয়েছি। মিশে গিয়েছি সাধারণের সাথে আর সেই জীবনটা চেখে দেখবার চেষ্টা করছি, যে জীবন আমি রেখে এসেছি রাষ্ট্রপতি হবার আগের জীবনের কাছে!
কিন্তু একটা বিষয় থেকে কখনোই মুক্তি পাইনি, যখনই আমি ওভাল অফিসে ঢুকতাম, একটা নির্যাস সবসময়ই আমাকে ঘিরে রাখতো… তা হলো, আমি কোনো অফিসে ঢুকছি না, বরং এ যেন গণতন্ত্রের বিশেষ একটি আধার। যতই দিন যেতে থাকলো, ওভাল অফিসের অহর্নিশ জ্বলতে থাকা সেই আলোগুলো আমাকে পূর্ণ করে তুলতে লাগলো, আশ্বস্ত করতে থাকলো, প্রতিনিয়ত মনে করিয়ে দিত আমার দায় আর দায়িত্বগুলোকে।
এই ওভাল অফিসে আমি প্রথমবার গেলাম নির্বাচনে জয়ী হবার কিছুদিন পরেই। হোয়াইট হাউজের ঐতিহ্য ধরে রেখে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশ দম্পতি মিশেল আর আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ওখানে যাবার জন্য। সিক্রেট সার্ভিসের একটা গাড়িতে চড়ে আমরা দুজনে পৌঁছুলাম হোয়াইট হাউজের দক্ষিণ প্রাঙ্গনে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটাই হবে আমাদের নতুন আবাসস্থল। দিনটি ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। ওয়াশিংটনে সেবার হেমন্তকাল দীর্ঘায়িত হয়েছিল, গাছের পাতারা বাতাসে দলবেঁধে দুলছে, গোলাপবাগান উপচে পড়ছে ফুলে… যেন আমাদেরকে স্বাগত জানাতেই এই আয়োজন। অথচ শিকাগোতে এই সময়ে বিকেল না শেষ হতেই ঝুপ্করে অন্ধকার নেমে আসে। পাতাবিহীন গাছগুলোর গায়ে হিমশীতল বাতাস চাবুকের মতো বাড়ি মেরে বয়ে যায়। সৌভাগ্যবশত ক’দিন আগেই শিকাগোতে আমরা পেয়েছিলাম মিষ্টি একটি প্রাকৃতিক আবহ, নির্বাচনের দিন সন্ধ্যেবেলাটা দারুণ ছিল। হয়তো আমাদের এই জয়ের সুবাতাস শিকাগো আগেই পেয়েছিল, উদযাপনের জন্য সেই সন্ধ্যাটা নিজেকে গুছিয়ে রেখেছিল।
দক্ষিণের বারান্দায় রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশ আর ফার্স্ট লেডি লরা বুশ আমাদেরকে স্বাগত জানানোর পরে সংবাদকর্মীদেরকে হাত নাড়িয়ে আমি আর জর্জ বুশ চলে গেলাম ওভাল অফিসের দিকে। আর লরা বুশ তাদের বাসায় নিয়ে গেলেন মিশেলকে, চা খেতে খেতে আলাপ করবেন ব’লে। ওভাল অফিসে ঢুকে তৎকালীন আর সদ্য নির্বাচিত দুই রাষ্ট্রপতির কিছু আনুষ্ঠানিক ফটো তুলবার পরে, জর্জ বুশ আমাকে বসতে আহবান জানালেন। চায়ের কাপ হাতে নিয়ে আমাদের আলাপচারিতা শুরু হলো।
“তো! জয়ের পরে কেমন লাগছে আপনার?” বুশ জানতে চাইলেন।
হেসে বললাম, “সত্যি, দারুণ এক অনুভূতি। আপনারও নিশ্চয়ই মনে আছে?”
“হ্যাঁ। আমি স্পষ্ট স্মরণ করতে পারছি। মনে হয় যেন গতকালের ঘটনা”। মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে বুশ বলতে থাকলেন, “যদিও একটা কথা আপনাকে বলবোই, তা হলো, খুব কঠিন একটা দায়িত্ব আপনাকে বরণ করে নিতে হবে। এটার সমান আর কিছু হয় না। আগামী দিনগুলোতে প্রতিনিয়ত এক চড়াই-উতরাইয়ের ভেতর দিয়ে যেতে হবে আপনাকে। আর এই চড়াই-উতরাইকে প্রতিদিনই আনন্দচিত্তে আলিঙ্গন করতে হবে”।
প্রাতিষ্ঠানিক প্রথার প্রতি সম্মান জানিয়ে বা তার পিতার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষার জন্যই হোক কিংবা তার নিজের দায়িত্ব নেবার সেই দিনগুলোর তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই হোক, জর্জ বুশ এরপরের এগারো সপ্তাহ সহযোগিতার হাত অবারিত রেখেছিলেন ক্ষমতা হস্তান্তরের পুরো প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে। অথবা হতে পারে, এটা ছিল একটা মৌলিক ভদ্রতা। সেই সময়ের সকল স্টাফরা আগামী দিনের দলকে খুব সুন্দর করে সব শিখিয়ে পড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তী যে দল কাজ করবে হোয়াইট হাউজে, তারা যেন কোনো সমস্যার সামনে না পড়েন প্রাত্যহিক কাজকর্মে, সেই বিষয়গুলোও তারা সুচারুভাবে খেয়াল রাখছিলেন। বুশের কন্যারা, বারবারা আর জেনা নিজেদের পরিকল্পনা এদিক সেদিক করে মালিয়া আর শাশাকে হোয়াইট হাউজে নিয়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখিয়েছিল। এসব দেখেশুনে তখনই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমারো যেদিন সময় আসবে এরকম দায়িত্ব হস্তান্তরের, ঠিক এভাবেই পরবর্তী রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাবো।
রাষ্ট্রপতির সাথে বসে সেদিন যে আলাপ করলাম তার মধ্যে ছিল দেশের অর্থনীতি প্রসঙ্গ, ইরাক প্রসঙ্গ। বুশ তার স্বভাবগত বৈশিষ্ট্যের বাইরে না গিয়ে এসব আলাপের মধ্যে হাস্যরসিকতাও করছিলেন, তার দেহভঙ্গীমায় একটা চঞ্চলতাও ছিল। আলাপের এক ফাঁকে তিনি অন্য কিছু দেশের কয়েকজন নেতা সম্পর্কে খোলামেলা নিরীক্ষণ বিষয়ে জানালেন, এটাও বললেন, আপনার নিজের দলের কিছু নেতাও সরকারি কাজের মধ্যে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে। সেদিকটাও যেন সতর্ক থাকি। হোয়াইট হাউজে প্রবেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে কোনো এক সময়ে তিনি অন্য সব জীবিত রাষ্ট্রপতিদেরকে সাথে নিয়ে বিদায়ী রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে একটি ভোজনসন্ধ্যার আয়োজন করতে চান, সেটাও জানালেন।
খেয়াল করে দেখলাম, যতক্ষণ আমরা আলাপ করলাম, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের খুব গভীরে গিয়ে তিনি কথা বলতে আগ্রহী হলেন না। একটা সীমা তিনি বরাবরই রক্ষা করে চলেছিলেন, কারণ এর গত কয়েক মাস আগে থেকেই আমরা পরস্পর দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম। সেটাও তাকে মাথায় রাখতে হয়েছিল। তিনি খুব ভালো মুডে ছিলেন, আমিও সেটাকে উপভোগ করছিলাম। ওভাল অফিসে সেদিনের আমার উপস্থিতি তাকেও খানিকটা নিশ্চয়ই আনমনা করছিল; আর কিছুদিন পরে তাকেও ছেড়ে যেতে হবে এই অফিস, এই ভাবনা নিশ্চয়ই তার ভেতরে সঞ্চারিত হচ্ছিল। রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণ বিষয়ে খুব একটা আলাপ হয়নি। আমি নিজে থেকেও এ বিষয়ে কিছু বলিনি। বরং সেদিন শ্রোতাই ছিলাম বেশি, বলবার চেয়ে। শুধু একটাবার আমি খুব অবাক হলাম, যখন তিনি চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কট আর সেক্রেটারি পলসনের বিষয়ে কথা বলে উঠলেন। সেইসময়ে ব্যাংকগুলোকে সঙ্কট থেকে উদ্ধারের জন্য কংগ্রেসে সবে ঞঅজচ বিল পাশ হয়েছে।
“বারাক, আপনার জন্য স্বস্তিদায়ক সংবাদ হল, যে অর্থনৈতিক ঝামেলার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম, আপনি দায়িত্ব পুরোপুরি নেবার আগেই আশাকরছি, সেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। একটা নতুন ছক কষে আপনি হয়তো আপনার কাজটা শুরু করতে পারবেন”।
মুহূর্তেই যেন আমি বাক্যহারা হয়ে গেলাম। কারণ সেক্রেটারি পলসনের সাথে নিয়মিতই যোগাযোগ করেছি আমি, এই বিষয়ে কথা বলেছি। তাতে আমার ধারণা হয়েছে, এ সমস্যা এত সহজে এবং এত দ্রুত মিটে যাবার নয়। এটা সরকারকে ভোগাবে আরো দীর্ঘদিন। রাষ্ট্রপতির দিকে তাকিয়ে আমি অন্য এক ভাবনায় যেন ডুবে গেলাম। জর্জ বুশ যখন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সেই দিনটাতে তার চোখেও ছিল এক আশা, প্রতিজ্ঞা। তিনি যেদিন ওভাল হাউজে প্রবেশ করেছিলেন জয়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে, আমার আজকের দিনের অন্তর্গত ভাবনার যে উজ্জ্বলতা, তারটা সেদিন এর চেয়ে একটুও কম ছিল না। বিশ্বকে বদলে দেবার প্রতিজ্ঞার যে দৃঢ়তা আজ আমার ভেতরে, সেদিন তার প্রতিজ্ঞার তেজও ঠিক এতটাই ছিল হয়তো। কতটা সফলতা পেল সেই স্বপ্ন, সেই প্রতিজ্ঞা, তা ইতিহাসই বলে দেবে।
শেষে আমি শুধু এই কথাটাই বললাম, “অনেক সাহসী হয়ে আপনাকে সেই বিল পাশ করতে হয়েছিল। দলের নীতিনির্ধারকদের বিপক্ষে গিয়ে, জনমতকে এড়িয়ে দেশের ভালোর জন্যই এই সাহসটা আপনাকে দেখাতে হয়েছিল”।
সেদিন এই সত্যটুকুর বাইরে এই বিষয়ে আর কিছু বলার ছিল না আমার।
ফারহানা আনন্দময়ী : কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক