উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজনে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ পালন করলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে ছিল কেক কাটা, র্যালি, গান, কবিতা আবৃত্তি, বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা, প্রয়াত উপাচার্য, উপ–উপাচার্য ও শিক্ষকদের স্মরণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন।
গতকাল কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান, উদ্যোক্তা অধ্যাপক সরওয়ার জাহান, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আব্দুস সালাম, অধ্যাপক ড. ইসরাত জাহান, চট্টগ্রাম মহানগরীর জামায়াতে ইসলামীর আমির শাহজাহান চৌধুরী, আমন্ত্রিত অতিথি, বিভিন্ন বিভাগের উপদেষ্টা, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খলিলুর রহমান বলেন, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় একটি দেদীপ্যমান নাম। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এটাই আমার আশাবাদ।
তিনি আরও বলেন, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি দীর্ঘ ২৩ বছরের পুরানো একটি স্বনামধন্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস ও শিক্ষার পরিবেশ দেখে সকলে মুগ্ধ হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শুভাকাঙ্খী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের আন্তরিক সহযোগিতায় সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে সামনের দিনগুলোতে আমাদের সাফল্য অর্জিত হবে এটাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমরা চাই আপনাদের সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় নিয়ম শৃঙ্খলার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাক। বিশ্ববিদ্যালয় সমৃদ্ধ হলে আমরাও গৌরবান্বিত হবো।
উপাচার্য ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় সাউদার্ন এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরাই আমাদের এগিয়ে চলার প্রেরণা। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের জন্য স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রদানে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বদ্ধপরিকর। আর এ লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা। আমাদের সবার একটাই লক্ষ্য–সাউদার্নের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া।
ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, দেখতে দেখতে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার ২৩তম বার্ষিকীতে উপনীত হলো। আজ উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি দেশব্যাপী পরিচিত নাম। সাউদার্ন শিক্ষার গুণগত মান ও বিশ্বমানের শিক্ষায় বিশ্বাসী। গুণগত শিক্ষার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে চাই। গত ২৩ বছরে আমাদের উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের বিজয় এসেছে। তরুণরাই আবার নতুন করে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে।