সুন্দর মনের অধিকারী হবো কীভাবে? সেজন্য নিজেকে প্রতিনিয়ত পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা ভেতর থেকে করতে হবে। সমস্ত সুন্দর ও পবিত্র জিনিসগুলোকে আন্তরিকভাবে হৃদয়ে লালন করতে হবে। মৌমাছি যেমন ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে ঠিক তেমনি প্রত্যেক মানুষের ভিতর যে ভাল গুণগুলো আছে সেগুলোকে গ্রহণ করতে হবে। যেন অতুটুকু নষ্ট না হয় তবেই ধীরে ধীরে হৃদয় ভূমিতে সুন্দর ও পবিত্রের চারা গাছটি ক্রমে পূর্ণরূপে বাড়তে থাকবে। কাঁঠালে চারা গাছকে চারপাশে বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখতে হয়। না হলে গুরু-ছাগলে নষ্ট করে ফেলবে কিন্তু গাছ বড় হয়ে গেলে আর গরু- ছাগলে নষ্ট করতে পারবে না। তাই প্রথম প্রথম সুন্দর ও পবিত্রতাকে হৃদয়ে যত্ন করে লালন করতে হবে তারপর ক্রমে তা স্থায়ী হলে আর ভয় নেই আপনার থেকে সুখী আর কে আছে? যে সেই সুখের সন্ধান পেয়েছে সে যেন পরশ পাথরের ছোঁয়া পেয়েছে। জীবনে পরম সত্যকে উপলব্ধি করতে না পারলে জীবনটা অর্থহীন। এ অর্থহীন জীবন অনেকাংশে পণ্ড জীবন থেকে নিম্নতর কারণ বিপদগামী মানুষগুলো এত হিংস্র হয় যে পশু থেকে অনেক বেশি ভয়ংকর। এক উন্মত্ত হিংস্র পশু যা করে তার অনেক ভয়ংকর একজন বিপথগামী মানুষ। এ কথাগুলোকে নিজের মতো করে উপলব্ধি করতে হবে। আমি আমার মতো করে আপনাকে অনেক কিছু বললাম হয়তো আপনি তা ঠিক সেভাবে মূল্যায়ন করেন নাই। অসুবিধা নেই।
আপনি একটু ভাবলে আপনার মধ্যে সেই বোধটুকু জাগ্রত হবে। আস্তে আস্তে হোক, একটু একটু তাও অনেক ভালো।