ঈদের অগ্রিম টিকিটের জন্য রেল স্টেশনে ভিড় বাড়ছে

সুবর্ণ ও চট্টলা এক্সপ্রেস ছাড়া কোনো ট্রেনের টিকিট খালি নেই

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৫ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ঈদের অগ্রিম টিকিটের জন্য চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে প্রথমদিনের চেয়ে গতকাল দ্বিতীয় দিনে যাত্রীদের ভিড় ছিল বেশি। ১০টি আন্তঃনগর ট্রেনের ৬ হাজার টিকিটের মধ্যে শুধুমাত্র সুবর্ণ এক্সেপ্রেসে এসি-নন এসি মিলে ২৫৭টি এবং চট্টলা এক্সপ্রেসে ১৬টি টিকিট অবিক্রিত রয়ে গেছে। বাকি সব ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। গতকাল ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিনে যাত্রীদের মাঝে দেয়া হয়েছে ২৮ এপ্রিলের টিকিট। সকাল থেকে যারাই ঈদের অগ্রিম টিকিটের জন্য এসেছেন সকলেই টিকিট পেয়েছেন। তবে ১২টার পর থেকে বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট শেষ হয়ে যায়। তখন অনেকেই টিকিট পাননি।

আজ ২৫ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৯ তারিখের অগ্রিম টিকিট, আগামীকাল ২৬ তারিখে দেওয়া হবে ৩০ তারিখের অগ্রিম টিকিট এবং ২৭ এপ্রিল দেওয়া হবে ১ মে’র অগ্রিম টিকিট। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয় একই সাথে কাউন্টারে এবং অনলাইনে। কাউন্টারে দেওয়া হচ্ছে ৫০ শতাংশ, বাকিগুলো অনলাইনে। একজন যাত্রী জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি জমা দিয়ে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট নিতে পারছেন।

চট্টগ্রাম স্টেশনে যারাই ঈদের অগ্রিম টিকিটের জন্য এসেছেন সকলেই সুশৃক্সখলভাবে টিকিট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের রেলওয়ে পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরী। তিনি আজাদীকে জানান, ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে যাত্রীদের কোনো ধরনের অসুবিধা যাতে না হয়-বা হয়রানি না হয়-সেজন্য আমাদের জিআরপি পুলিশ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। টিকিট বিক্রিতে কোনো ধরনের বিশৃক্সখলা হয়নি। তিনি জানান, গত দুইদিন যাত্রীদের চাপ মোটামুটি একটু কম থাকলেও ২৯, ৩০ ও ১ তারিখের টিকিটের চাহিদা বেশি হবে। সেই হিসেবে আমাদের প্রস্তুতিও রয়েছে। পাশাপাশি আরএনবির সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।

এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক রতন কুমার চৌধুরী আজাদীকে জানান, রবিবার দ্বিতীয় দিনে যাত্রীদের মোটামুটি চাপ থাকলেও সবাই টিকিট পেয়েছেন। ১০টি আন্তঃনগর ট্রেনের মোট ৭ হাজার ৩৪টি টিকিটের মধ্যে সাড়ে ৬ হাজার টিকিট বিক্রির জন্য ওপেন ছিল। এর অর্ধেক কাউন্টারে এবং অর্ধেক অনলাইন। এরমধ্যে শুধুমাত্র সুর্বণ এক্সপ্রেসে ২৫৭টি এবং চট্টলা এক্সপ্রেসে ১৬টি টিকিট রয়ে গেছে। অবশিষ্ট সব ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। সোমবার থেকে টিকিটের চাহিদা বাড়তে থাকবে। তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারি রোধে সিসিটিভি ফুটেজ কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীও আমাদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা করছে।

সরেজমিনে স্টেশনে দেখা যায়, ১ থেকে ৮ নম্বর কাউন্টারে আলাদা আলাদা ট্রেনের টিকিট দেয়া হয়। এক নম্বর কাউন্টারে নারী, ওয়ারেন্ট ও রেলওয়ের পাস টিকিটের জন্য দেয়া হয়। ২ নম্বর কাউন্টারে সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার), ৩ নম্বর কাউন্টারে পাহাড়িকা ও উদয়ন, ৪ নম্বর কাউন্টারে মহানগর গোধূলী ও মহানগর এক্সপ্রেস, ৫ নম্বরে তূর্ণা এক্সপ্রেস, ৬ নম্বর কাউন্টারে চট্টলা ও বিজয় এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা, শোভন চেয়ার ও শোভন), ৭ নম্বর কাউন্টারে মেঘনা এক্সপ্রেস, চাঁদপুর স্পেশাল ট্রেনের টিকিট দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও বাকি কাউন্টারে অন্যান্য ট্রেনের টিকিটগুলো দেয়া হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে সংবাদপত্রের বিকাশ সংকুচিত হবে : নোয়াব
পরবর্তী নিবন্ধসিইউএফএল সংলগ্ন খালের পানি খেয়ে ১৩ মহিষের মৃত্যু