রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। বর্তমান কমিশনের বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসায় নতুন কমিশন গঠন নিয়ে আলোচনার মধ্যে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই মত দেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
নূরুল হুদা বলেন, পরবর্তী ইসি গঠন করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। সেটা আমি সমর্থন করি। ঐক্যমত কীভাবে হতে পারে- প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সেটা মহামান্য রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। যেমন গতবার মহামান্য রাষ্ট্রপতি সব দলের নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন। তবে সেটা রাষ্ট্রপতির বিষয়। আমাদের করণীয় কিছু নেই।
বর্তমান ৫ সদস্যের ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। রাষ্ট্রপতি প্রধান দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে এ কমিশন নিয়োগ দিয়েছিলেন। সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন নিয়ে নানা মহলের সমালোচনাও হচ্ছে। সংবিধানে নির্বাচন কমিশন নিয়োগে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা থাকলেও গত ৫০ বছরে কোনো সরকারই তা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়নি।
আইন প্রণয়নের বিষয়ে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, এক্ষেত্রে ইসির মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই। আইন তো তৈরি করে পার্লামেন্ট। এটা আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হয়। তাদের কাছ থেকে এমন কোনো ইঙ্গিত আসেনি আইন করতে হবে কি হবে না, নির্বাচন কমিশনের মতামত এখানে থাকে না, এখানে ইসির কাছে মতামত চায়ও না। চাইলে তখন কমিশন বসে আমরা দেখব।