ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই কেবল ঈদ আনন্দ পূর্ণতা পেতে পারে

চকবাজার থানা জামায়াতের অনুষ্ঠানে বক্তারা

| শনিবার , ১২ এপ্রিল, ২০২৫ at ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ঈদের আনন্দ একমাত্র তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে। ঈদ আমাদের মধ্যে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং একাত্মতার বন্ধন সৃষ্টি করলেও, ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এর আসল মাহাত্ম্য পাওয়া সম্ভব নয়। চকবাজার থানা জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রেীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম ২ সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, নগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। একমাত্র এই রাষ্ট্রে ঈদ তার পূর্ণতা পাবে, যেখানে শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে। চকবাজার থানা জামায়াতের আমীর আহমদ খালেদুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন চকবাজার থানা জামায়াতের সেক্রেটারি সাদুর রশিদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চকবাজার থানা জামায়াতের নায়েব আমীর আব্দুল হান্নান, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, চকবাজার থানা কর্মপরিষদ সদস্য ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মাদ ইলিয়াস, থানা কর্মপরিষদ সেক্রেটারি আব্দুর রাকিব, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড সেক্রেটারি এরশাদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজিজুল হক, সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুদ্দীন খালেদ, আমজাদ হোসেন, চকবাজার থানা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল করিম, আরফাত হোসেন, মহিবুল হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চকবাজার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কর্মপরিষদ সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম,শাহাদাত হোসাইন, মাওলানা খালেদ জামাল, নুর হোসাইন, তাওহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইসমাইল, ফিরোজ সিদ্দিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন, হাফেজ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন পাঞ্জেরী শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীবৃন্দ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙামাটিতে প্লাস্টিক বর্জনে সচেতনতামূলক সাইক্লিং
পরবর্তী নিবন্ধবৈসাবী উৎসবে রং লেগেছে পাহাড়ে