বর্ণচোরা সমাজের যে কংক্রিট কাঠামোতে
ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা, সেখানে
কোনো না কোনোভাবে, চোরাবালির অদৃশ্য
ঈশারায় নিয়ত অপহৃত হয়
মানুষের অর্বাচীন মন।
অসীম চাওয়া, আত্মকেন্দ্রিক চিন্তা
আর অদূরদর্শিতার নোনা স্পর্শে
ধৃষ্টতার সীমানা প্রাচীর বেমালুম ক্ষয়ে
যেতে যেতে, ক্রমেই বিলীন হয়ে আসে
মানুষের সহজাত ধরন।
কী অদ্ভুত প্রাণী মানুষ?
পুরোপুরি সামাজিক নয়, আবার একদম
প্রাকৃতিকও নয়।
কারণে বা অকারণে,
প্রাপ্যতার নিদারুন অসম নকশায়
স্বেচ্ছায় দেয় ডুব অকস্মাৎ।
এতোটা কঠিন না হলেও হতো।
এতো শূন্যতা, এতো স্তব্ধতা!
এ কী! ধাপে ধাপে,
ছোট ছোট চাওয়াগুলোর
অপ্রাপ্তির অসহায় পরিহাস!
করুণ কোলাহলে বিবর্ণ ঝাপসা আর্তনাদ।
তবুও চলতে থাকা, লক্ষ্য বিহীন
কখনো কখনো, মসৃণ বা অমসৃণ পথে,
ইচ্ছার অনুর্বর বাগিচায় ঘুরে ঘুরে
স্বপ্ন ছায়ায় স্বাদ নেয়া,
নিষ্ফলা বৃক্ষতলে ক্লান্তিতে বসে।