ইউক্রেনকে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে রাশিয়া

নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলল ডজনের বেশি দেশ

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনৈতিক চেষ্টা যেমন চলছে, তেমনি থেমে নেই ইউক্রেনকে ঘিরে রাশিয়ার সমর সজ্জাও। নিজেদের সীমান্ত সংলগ্ন দেশটির তিন দিকেই দিনে দিনে শক্তি বাড়িয়েছে পুতিনের দেশটি। শনিবার ক্রমশ বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক ঘণ্টা ফোনালাপ করেছেন। বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা থেকে হয়েছে সবশেষ এ আলাপ। ইউক্রেনে হামলা চালানো হলে এর ‘সমুচিত জবাব’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ৪০ মিনিটের এ আলোচনায় পুতিন এই মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা করবেন তেমন কোনো ইঙ্গিত দেননি।
এদিকে এক ডজনের বেশি দেশ তাদের নাগরিকদের দ্রত ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানির পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ইসরায়েল, নেদারল্যান্ডস ও জাপানও আছে। কিয়েভে কয়েক হাজার মানুষ রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিরোধের ডাক দিয়ে বিক্ষোভও করেছে। খবর বিডিনিউজ ও বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার।
পশ্চিমা দেশগুলোর ‘যুদ্ধ শুরু হতে পারে’ এমন উদ্বেগের মধ্যেই ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে সমুদ্রে বড় ধরনের নৌ মহড়া করছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, সমপ্রতি ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক রুশ সেনা জড়ো হওয়ার খবরে খুব দ্রুতই দখল অভিযান শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করতে শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।
যুদ্ধ এড়ানোর লক্ষ্যে মরিয়া কূটনৈতিক চেষ্টার মধ্যে রাশিয়ার এমন সমর সজ্জাকে ইউক্রেনের জন্য আসন্ন হুমকি হিসেবে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। তবে হামলা শুরু হলে কোন এলাকা থেকে শুরু হতে পারে সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে সিএনএনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের ওপর তিন দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করেছে রাশিয়া। এর মধ্যে দক্ষিণ দিক থেকে ক্রিমিয়ায়, দুই দেশের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার অংশ এবং উত্তরে বেলারুশে সেনা শক্তি বাড়িয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। ইউক্রেন ও পশ্চিমা গোয়েন্দারা এ তিন এলাকাকে রণক্ষেত্র হিসেবে নজরে রাখছেন। এর প্রত্যেকটি এলাকাতেই রুশ সামরিক বাহিনীর অবস্থান পরিবর্তন চিহ্নিত করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতা খুন আহত আরো দুইজন
পরবর্তী নিবন্ধইনোসেন্ট কনভারসেশনকে পুঁজি করা হচ্ছে