বই মানুষের চিরন্তন বিশ্বস্ত সঙ্গী। জন্মগতভাবেই মানুষ অন্যের সাহচর্য প্রত্যাশা করে। তাই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই মানুষ পারস্পরিক সহযোগিতায় জীবনের অর্থ খুঁজেছে। মানুষের পাশাপাশি একসময় এ সাহচর্যের অংশীদার হয়েছে বই। মানবজীবন প্রবাহের যাবতীয় ভাব-অনুভূতি জানার প্রবল আগ্রহ মানুষকে বইমুখী করেছে। কেননা যুগ যুগ ধরে মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নার অনুভূতি বুকে ধারণ করে অনাগত কালের মানুষের জন্যে চির অপেক্ষমাণ হয়ে আছে বই। অতীত-বর্তমান আর ভবিষ্যতের যোগসূত্র রচনা করে বই। বই পড়ে মানবমন লাভ করে অনাবিল প্রশান্তি। বই অতীত আর বর্তমানের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে। বই পড়ার মধ্য দিয়ে আমরা যেমন অসংখ্য তথ্য-উপাত্ত, জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্বন্ধে অবগত হতে পারি, তেমনি বই পঠন-পাঠনের মধ্য দিয়ে একটি জাতি তার ভাগ্য পরিবর্তনের রসদ সংগ্রহ করতে পারে। বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু। বই-ই মানুষের অন্তর চক্ষু খুলে দেয় একটি ভালো বই পারে ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়ে তুলতে। একটি উত্তম বই মানুষকে মহৎ হতে শেখায়, মনকে প্রসারিত করে, বুদ্ধির বিকাশ ঘটিয়ে জীবনকে করে তোলে পরিমার্জিত। অজানাকে জানা ও অচেনাকে চেনার যে চিরন্তন আগ্রহ, তা বই পড়ে মেটানো যায়। তাই বই পাঠের বিকল্প কিছু নেই। তাই আসুন, আমরা বইকে ভালোবাসি এবং বই পড়ি।
ইমরান হোসাইন
শিক্ষার্থী : গণযোগাযোগ ও
সাংবাদিকতা বিভাগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।