যে মানুষটাকে আল্লাহ ছোটবেলায় বড় কোনো রোগ দিয়েছেন সে বড় হয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় না বরং বড় হওয়া পর্যন্ত একটু বাঁচতে চায়। যে মানুষটার একটা হাত বা একটা পা নেই, সে চায় আহ আমার যদি আরেকটা হাত ভালো থাকতো কতো ভালো হতো, আমার যদি দুটো পা ঠিক থাকতো কতো ভালো হতো। যে মানুষটা জন্মের পর থেকে অন্ধ সে মানুষটা ভাবছে, আহ একটু যদি চোখে দেখতে পেতাম বুঝতাম পৃথিবীটা দেখতে কেমন, আমার বাবা–মা ভাই–বোন দেখতে কেমন! যে মানুষটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কোনো কিছু ভাবতে পারে না স্বাভাবিক মানুষের মতো করে, সে মানুষটা ভাবে আহ যদি আমি সুস্থ মস্তিষ্কের একজন মানুষ হিসেবে বাঁচতে পারতাম কতই না ভালো হতো! যে মানুষটা জন্মের পর থেকে বোবা কখনো মুখে বাবা–মা ডাকতে পারেনি, সে মানুষটা ভাবছে আহ আমি যদি একটু কথা বলতে পারতাম! যে মানুষটা কানে শোনে না কে কী বলছে, সে মানুষটা ভাবছে আহ আমি যদি কানে শুনতে পেতাম কতই না ভালো হতো! যে মানুষটা প্যারালাইসিস–এ শরীর অচল পুরোপুরি অন্যের উপর নির্ভর হয়ে বেঁচে আছে, সে ভাবছে আমি যদি উঠে বসতে পারতাম দাঁড়াতে পারতাম কথা বলতে পারতাম কতো ভালো হতো! যে মানুষটা আইসিইউতে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে প্রতি মুহূর্ত, সে মানুষটা ভাবছে আমি যদি গ্লাসের ওই প্রান্তে গিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারতাম কী যে শান্তি লাগতো আহ্! এটুকু পড়ার পর আপনারা যার যার অবস্থানের দিকে তাকিয়ে অন্তর থেকে বলুন না, আলহামদুলিল্লাহ আমার আল্লাহ আমাকে কতকিছুতেই পরিপূর্ণ করে রেখেছেন আর আমি খেয়ালই করিনি। মানুষের কতো আশা কতো ইচ্ছে, কতো সামান্য চাওয়া, কতো অল্প পাওয়াতে খুশি থাকে মানুষ, মানুষের জীবন কতই না বিচিত্র্যময়! আমাদের যদি দুটো হাত দুটো পা দুটো চোখ এবং সুস্থ মস্তিষ্ক থাকে সাথে সুস্থ শরীর কখনো নাশুকরি না করে কৃতজ্ঞ হওয়া প্রয়োজন আল্লাহর উপর যিনি আমাদের এতো কিছু দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন। জীবনের উপর কোনো রকম অভিযোগ করতে নেই, সত্যি শারীরিক সুস্থতার উপর কোনো নেয়ামত নাই পৃথিবীতে, এটার জন্য আল্লাহকে প্রতি নিয়তই ধন্যবাদ জানানো উচিত আমাদের ! আল্লাহ সুবহানাওয়াতাআ‘লা যাকে যেমন রেখেছেন তেমনেই আলহামদুলিল্লাহ বলে জীবনকে খুশিখুশি যাপন করলে বেঁচে থাকার স্বাদ পূর্ণতা পায়, আল্লাহ আমাদের জীবনের উত্তম পরিকল্পনাকারী।