সহ্যের কুল হারিয়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছি বিশ্বাস ভরা নয়নে। করোনা, কিসে তোমার এত প্রাণোচ্ছ্বাস? অদেখা অধরা হয়ে ঘায়েল করো শরীর কিংবা তালুতে কিংবা নাক বা হাঁচিতে? চোখ দিয়েও অবাধ বিচরণে তুমি আঘাত করো? তুমি ছোঁয়াছে, তোমার আঘাতে দুমড়ে মুচড়ে যায় সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। তুমি নির্ঘাত হন্তারক। নিঃশ্বাসে তুমি জঘন্য ইতর, কেন তুমি মানব হত্যার লীলার উৎসবে মেতে উঠো? তুমি নীরব ঘাতক হয়ে বিস্তৃতি বাড়িয়ে জগত জীবনকে গৃহবন্দী করে ও কি সাধ মিটেনি? লকডাউন, আইসোলেশন, টিকা দিয়ে কি তোমাকে তাড়াতে পেরেছি? তুমি নিস্তার দিচ্ছনা। কবে যাবে তুমি? নিছক পড়ে থেকে আর কত স্বাভাবিকতা কেড়ে নেবে?
ভালোবাসার পরশ পেতে, মন ভরে নিঃশ্বাস নিতে, সবুজের তাজা ঘ্রাণে নিজেকে বিলাতে স্বপ্ন বুনে কালক্ষেপণ করি। করোনা তোমার কি বোধোদয় হয় না? আর কত যাতনা দেবে? তুমি এত বেপরোয়া কেন? একটু আলোর মুখ দেখছিলাম তাইতো শিক্ষাঙ্গন, বিয়ে ও নিঃশ্বাসের ফুরফুরে হাসিতে খুশীতে বন্ধুদের কোলাহলে মেতে উঠে নিঃশ্বাস নিলাম। তাও কি থামিয়ে দেবে? ওমিক্রন নামে আবার তুমি ঘাতকের মত নাড়াছাড়া করছো? তুমি কি আমাদের স্বাভাবিক জীবনে থাকতে দেবে না?
ওমিক্রনের টেউ দেশে আসতে দেরী নেই। মানুষ সচেতন না হলে এই ধাক্কা সামলানো সম্ভব নয়। তাই সরকারি প্রজ্ঞাপন মতো পথ চলুন। বদলে যাওয়া বাংলাদেশের চিত্র অরক্ষিত রাখুন। মুখঢাকা মাস্ক সর্বক্ষণ সাথে রাখুন। বিধাতা তোমাকে সমর্পণ করে বলি, প্লিজ এমন অদেখা রোগ তুমি থামিয়ে দাও। বিনা যুদ্ধের কাঠগড়ায় আর গৃহবন্দী করে রেখো না। আমরা যে আর পারছি না।