তোমার মতন কেউ নেই আর
শুরুতেও শূন্যতা, বিষণ্নতা
মাঝখানে অন্ধকার –নিঃসাড়তার
ভবিষ্যতে অবরুদ্ধ ভাষা
ক্লান্ত পিপাসা–ক্ষয়িষ্ণু দেহ
স্থীর দৃষ্টি জলের মতন!
তারপর সময় বয়ে চলেছে
বৃত্তের চারিপাশে
ঘুরে ঘুরে নির্দিষ্ট বিন্দুতে ফিরে আসে
জমিতে মড়ক লেগেছে
বিদ্রোহের তীক্ষ্ম ভাষায় মাথা তোলে অভুক্ত ইঁদুর
মাটি ধুলোতে স্নান করে অভুক্ত আবেগ
নিবিড় করে পেতে চায় আঙুলের ছোঁয়া
কেঁপে কেঁপে ওঠে পাহাড়ের
সন্ধ্যা মেঘের ভৈরবী রাগ!
তোমার মতন কেউ নেই আর
চোখের মায়া কাজলে লেপ্টে থাক
তোমার অরগ্যাজমের সুর
তোমার স্ফুলিঙ্গ ঢেউয়ের খেলায়
উন্মত্ততায় আমি নবমী সাঁজব
বসন্ত দেশের ঘুম রাত্রিরে
শরীরের ক্ষুধা যৌবনের আয়নায়
দিন যাপনের অসুখে
তুমি দেবতা ভেতরের অসুর
আশায় আশ্রয় হয়ে ঠোঁটের শুষ্কতা
চুষে নেয় প্রগাঢ় চুম্বন
আমার বুকের পাঁজরে তুমি
রয়ে গেছো ক্ষয়হীন!