আধা কিলোমিটারে কোমর পানি, তীব্র স্রোত

চট্টগ্রাম-নাজিরহাট সড়ক

হাটহাজারী প্রতিনিধি | সোমবার , ২৮ আগস্ট, ২০২৩ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

টানা বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামহাটহাজারী সড়কের ইসলামিয়ারহাট থেকে নন্দীরহাট পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক কোমর সমান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ওই স্থানে তীব্র স্রোতে পানি প্রবাহিত হয়। এতে করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ দূরদূরান্তের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কের বড়দীঘির পাড় এলাকাও পানিতে ডুবে যায়। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, নাজিরহাট, ফটিকছড়ি, রাউজান ও রাঙ্গামাটি সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া গতকাল নাজিরহাট থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রেনটিও পাহাড়ি ঢলের কারণে ফতেয়াবাদ এলাকায় গিয়ে আটকা পড়ে।

জানা যায়, গতকাল রোববার সকাল সাড়ে আটটা থেকে এই মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়ক ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কেন্দ্রে যেতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বাস ট্রাক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও ছোট গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। তাই পরীক্ষার্থীরা রিকশা ও ভ্যানে করে মহাসড়ক পার হয়েছেন।

এদিকে প্রবল বর্ষণের ফলে উদালিয়া মনাই ত্রিপুরা পল্লীর তিন পরিবারের বসতঘর ধসে পড়েছে। এই তিন পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম মসিউজ্জামান ও ওসি মো. মনিরুজ্জামান ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়া মহাসড়ক এলাকায় গিয়ে পরীক্ষার্থী ও কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ফতেয়াবাদ সিটি করপোরেশন ডিগ্রি কলেজের পরীক্ষার্থীরা যথাসময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পারায় এই কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পর পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে।

মামুন এলাহী নামে এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে চট্টগ্রাম শহরের একটি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী। তিনি কোনো রকমে মেয়েকে কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেও তিনি বাড়ি ফিরতে পারেননি। সৈয়দ শাহাজাহান নামে একজন জানান, তিনি জরুরি প্রয়োজনে চট্টগ্রাম যেতে পারেননি মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায়। এছাড়া ফতেয়াবাদ এলাকার মরা ছড়ার পাহাড়ি ঢল শতাধিক বাড়ি ঘরে ঢুকে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মসিউজ্জামান জানান, প্রবল বর্ষণে মহাসড়কের ইসলামীয়ারহাট থেকে নন্দীরহাট এলাকা ঢলের পানিতে তলিয়ে যায়। এতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এছাড়া উপজেলার ফরহাদাবাদ মনাই ত্রিপুরা পল্লীতে তিন পরিবারের বসতঘর প্রবল বর্ষণে ধসে পড়ায় পরিবারের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি
পরবর্তী নিবন্ধধর্ষণের অভিযোগে বিটিআরসির কর্মকর্তা কারাগারে