আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরির কারণ উৎসুক জনতা : ফায়ার সার্ভিস

| বুধবার , ৫ এপ্রিল, ২০২৩ at ৪:৪১ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গবাজারে আগুন লাগার পরপরই সড়কের বিপরীত পাশের ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়ে জনতার হামলা, উৎসুক জনতার ভিড় আর দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরি হয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

সংস্থাটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেছেন, আগুন নির্বাপণে প্রথম বাধা হলো উৎসুক জনতা, দ্বিতীয় বাধা হলো আমাদের পানি স্বল্পতা। পানির জন্য আমরা সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী এবং অন্যান্য বাহিনীর সহায়তা নিয়েছি। ওয়াসা পানির ভাউজার দিয়ে সহায়তা করেছে। পুলিশের ইউএন মিশনে যাওয়ার জন্য যে ভাউজারগুলো ছিল, সেগুলো আমরা এনেছি। আরেকটা কারণ ছিল এখানে অনেক বাতাস ছিল। আমরা এক জায়গায় আগুন নিভাচ্ছি, বাতাসে আরেক জায়গায় আগুনটা চলে যাচ্ছে। সেজন্য আমাদের সময় একটু বেশি লেগেছে। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল দুপুরে ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমে নারী কর্মীদের উপর হামলার ঘটনার বিষয়ে এক সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সেই প্রশ্নই আমি করেছি যে, আমার হেডকোয়ার্টার এবং এই মার্কেটটা রাস্তার এপাশওপাশ। আমি ফায়ার সার্ভিসের ডিজি হিসেবে আমাদের সকল কর্মী আপনাদের জনগণের জানমাল উদ্ধারে জীবন দিচ্ছি, সেই জানমাল উদ্ধারে যারা জীবন দিচ্ছে তাদের উপরই আজকে হামলা হয়েছে। কেন, কারা করেছে? এই উচ্ছৃঙ্খল লোকজন কারা? কেন তারা এমন আচরণ করল? আমাদের যেসব গাড়ি জাতীয় সম্পদ ও মূল্যবান জীবন রক্ষা করে, সেইসব গাড়ি কি উদ্দেশ্যে ভাঙচুর করা হলো?

হামলার ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কিনাএ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা আগে তদন্ত করব। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আইজিপি আবদুল্লাহ আলমামুন সাংবাদিকদের বলেছেন, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের তরফে জানানো হয়েছে, উচ্ছৃঙ্খল জনতা ফায়ার সার্ভিসের ১১টি গাড়ি এবং অধিদপ্তরের ভেতরে প্রবেশ করে ইআরসিসি ভবন ও রিসিপশন ভবন ভাঙচুর করে এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের মারধর করে। বাইরে থেকেও উচ্ছৃঙ্খল লোকজন অধিদপ্তরের ভেতরে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অগ্নিনির্বাপণের সময়ও আমাদের অনেক কর্মী মারধরের শিকার হন। পরে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যগণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅননুমোদিত কসমেটিক্স সামগ্রী রাখায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধক্ষতিগ্রস্তদের ব্যবসায় ফেরাতে দরকার ৭শ কোটি টাকা