কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে পারেনি উপজেলা বিএনপি। গতকাল রবিবার সকালে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার কথা ছিল। একই স্থানে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগও কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। এতে সংঘাতময় পরিস্থিতির আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন নির্দিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। আগের দিন শনিবার রাত বারোটার দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে ১৪৪ ধারার ঘোষণা প্রচার করা হয়। রবিবার ভোর থেকে পেকুয়ায় বিএনপির অপতৎপরতা ঠেকাতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম এমপিকে ১৪৪ ধারার নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘আন্দোলনের নামে শান্ত পেকুয়ায় স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতকে কোনো ধরণের নাশকতামূলক অপতৎপরতা চালাতে দেওয়া হবে না।’
পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে রবিবার সকালে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়। আমাদের সেই কর্মসূচি নস্যাৎ করতেই অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে পাল্টা কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। এরই মাঝে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করায় রবিবারের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনে যে কোনো সময় মাঠে নামবো।’
১৪৪ ধারা জারি প্রসঙ্গে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘রবিবার সকালে পেকুয়া সদরের চৌমুহনী এলাকায় একই সময়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছিল। তাই সম্ভাব্য সংঘাত-সংঘর্ষসহ অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক শনিবার রাতে ১৪৪ ধারা জারি করে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। রবিবার সকাল ৬টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত পেকুয়া সদরের স্টেডিয়াম থেকে চৌমুহনী হয়ে পেকুয়া বাজার ও পরিষদ এলাকা এই ধারার আওতায় রাখা হয়। যাতে এ সব এলাকায় কেউ সভা-সমাবেশ, মিছিল করতে না পারে।’
পুলিশের চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম বলেন, ‘দুই দল একই সময়ে একইস্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়। তাই প্রশাসনের জারিকৃত ১৪৪ ধারা যাতে কেউ অমান্য করতে না পারে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় নির্দিষ্ট স্থানে। পুলিশ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।’