পাকিস্তানের ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির নবম পর্যালোচনা নিয়ে আলোচনার জন্য সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল অর্থমন্ত্রী ইশাক দার ও তার দলকে বেশ কঠিন সময়ের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার এমনটিই বলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এই মুহূর্তে অকল্পনীয়। যেসব শর্ত আমাদের (আইএমএফের পর্যালোচনা সম্পন্ন করার জন্য) পূরণ করতে হবে, তা কল্পনার বাইরে। খবর বাংলানিউজের।
তবে শর্তগুলো বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো উপায় নেই বলেও স্বীকার করেছেন শেহবাজ। পেশোয়ারে অ্যাপেক্স কমিটির বৈঠকে ভাষণের সময় কথাগুলো বলেন তিনি। নাথান পোর্টারের নেতৃত্বে আইএমেফের প্রতিনিধিদল গেল মঙ্গলবার সরকারের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচির নবম পর্যালোচনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বসে। ঋণখেলাপি বন্ধ করতে পাকিস্তানকে পর্যালোচনা পূর্ণ করতে হবে। দেশের রিজার্ভ ক্ষয় হতে হতে ২৭ জানুয়ারি ৩ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলারে এসে নামে। এই অর্থ দিয়ে মাত্র ১৮ দিনের আমদানি খরচ মেটানো যাবে। এমনটিই জানিয়েছে আরিফ হাবিব লিমিটেড। আইএমএফের পর্যালোচনা পূর্ণ করতে পারলে শুধু ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণের অর্থছাড়ই পাওয়া যাবে না, এর সঙ্গে বন্ধু দেশ ও অন্যান্য বহুপাক্ষিক ঋণদাতার কাছে থেকেও ধার পাওয়া যাবে। আইএমএফের সঙ্গে সরকারের বৈঠকের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র ডনকে বলেছে, অন্য কোনো উপায় নেই, এমন কঠিন বার্তা এসেছে। পাকিস্তান সরকারের পক্ষে আলোচনায় ছিলেন অর্থমন্ত্রী ইশাক দার ও জ্বালানিমন্ত্রী খুররম দস্তগীর খান। আইএমএফের পর্যালোচনা পূর্ণ করতে পাকিস্তান সরকার কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিনিময় হার থেকে অনানুষ্ঠানিক প্রাইস ক্যাপ তুলে নেওয়া, পেট্রোলিয়ামের দাম ১৬ শতাংশ বাড়ানো এবং এলপিজি গ্যাসের দাম ৩০ শতাংশ বাড়ানো।
দুই পক্ষ গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত চলা প্রথম রাউন্ডে প্রযুক্তিগত বিষয়ে আলোচনা করেছে। পরের সপ্তাহে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আলোচনা চলবে।