গাজীপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শিক্ষার্থী আবুল কাশেমের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে। জানাজা শেষে এ ঘটনার দ্রুত বিচার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম। এ সময় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে আবুল কাশেমের গায়েবানা জানাজা শেষে নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে কফিন মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–আন্দোলন।
মিছিলটি আন্দরকিল্লা, চেরাগী হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ–সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক রিজাউর রহমান, জোবায়ের আলম মানিক, তানভীর সিদ্দিকী, ইবনে হোসাইন জিয়াদ ও সাইফুর রুদ্রসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। মিছিলে ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা,’ ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও,’ ‘আমার ভাই কফিনে খুনি কেন বাহিরে,’ ‘ছাত্র–জনতার অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন,’ ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, খুনি হাসিনা গেলি কই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ–সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আমাদের লাশের মিছিল থামছে না। লাশের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। আমরা বিপ্লবের পর কাশেম ভাইকে হারানোর মাধ্যম প্রতি বিপ্লবের প্রথম শহীদকে পেয়েছি। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যে সংগঠন খুন, গুম, আয়নাঘর এবং গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তারা বাংলাদেশে কোনোভাবে রাজনীতি করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, এ আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধ করতে হবে। গাজীপুরে কাশেম ভাই শহীদ হওয়ায় আওয়ামী লীগের কবর রচনা হয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আর যদি আরেকটা লাশ পড়ে তাহলে লাশের বদলে লাশ নেওয়া হবে, রক্তের বদলে রক্ত নেওয়া হবে।