অস্বাভাবিক লেনদেনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে

কর্মশালায় বিএসইসির কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম

| রবিবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসসি)-র উদ্যোগে গতকাল শনিবার সিএসইর চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ (এএমএল এন্ড সিএফটি) বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

 

সিএসইর এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এক্সচেঞ্জের সংশ্লিষ্ট সকল স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলাররা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম ও বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসইসির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (ইডি) মীর মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, সিএসইর পরিচালক

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, এফসিএমএ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম ফারুক, চিফ রেগুলেটরী অফিসার (সিআরও) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, সিএফএ। এছাড়াও সিএসইএর বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন। সিএসইর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক উদ্বোধনী বক্তব্যে

বলেন, মানি লন্ডারিং প্রায়ই শুধুমাত্র ব্যাংকের সাথে যুক্ত বলে মনে করা হয়, কিন্তু বাস্তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠন, পুজিঁবাজার মধ্যস্থতাকারীসহ ব্যাংক এবং নন ব্যাংকিং উভয় ধরনের প্রতিষ্ঠানে অর্থের লেনেদনের প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট এই সংবদেনশীল মানি লন্ডারিং র্কাযক্রম। শেয়াবাজারের মাধ্যমে অর্থপাচার আর্থিক

অপরাধীদরে মধ্যে একটি জনপ্রিয় প্রক্রিয়া। শেয়াবাজার সব সময়ই পাচারকারীদের টার্গেটে থাকে, এ কারণে পুজিঁবাজারের মধ্যস্থতাকারীদের সব সময়ই ভাল ব্যবসার নীতি অনুশীলন করা উচিত।

বিএসইসির কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম বলেন, ক্যাপটিাল মার্কেট বিষয়ক মানিলন্ডারিং ব্যাপারটিকে ভালভাবে জানতে হবে এবং সব সময় সচতেন থাকতে হবে। কোনো ধরনের অস্বাভাবিক লেনদেন হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনো সন্দেহমূলক লেনদেন কিন্তু মানি লন্ডারিং নয়। মানিলন্ডারিং

এর যে সংজ্ঞা আছে সে অনুযায়ী যদি কোনো অপরাধ বা লেনদেন সংঘটিত হয় তখনই তাকে মানি লন্ডারিং আইনে আওতাভুক্ত করা যাবে। এমন কোনো লেনদেন যা সন্দেহজনক মনে হচ্ছে, হতে পারে একটি বড় সংখ্যার শেয়ার হঠাৎ করে আস্বাভাবিক মূল্যে হাতবদল হচ্ছে বা কয়েকজনের মধ্যে নিয়মিত লেনদেন হচ্ছে বা কোন স্বচ্ছ উৎসবিহীন লেনদেন হচ্ছে তবে দ্রুত সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন।

কমিশনের এক্সিকউিটভি ডিরেক্টর মোশাররফ বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত বিএফআইইউ সার্কুলার, সিএমআই সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করেন। সমাপনী বক্তব্যে সিএসইর চিফ রেগুলেটরী অফিসার মেহেদী হাসান, সিএফএ সকলকে কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সকল নিয়মাবলী মেনে পুজিঁবাজারের ব্যবসা পরচিলনা করার জন্য অনুরোধ জানান। কর্মশালা শেষে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশের মানুষ যাতে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধজামালখানে এক্সিম ব্যাংকের ১৪৮তম শাখা উদ্বোধন