অযত্ন অবহেলায় কোটি টাকার দুটি অ্যাম্বুলেন্স

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অব্যবস্থাপনায় হুইপের ক্ষোভ

পটিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২১ at ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোটি টাকার দুটি অ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে। ফলে এলাকার কয়েক লক্ষ মানুষ অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকায় অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে লতাগুল্ম উঠে গেছে। গাড়ির মধ্যে শ্যাওলা জমে গেছে।
এছাড়া হাসপাতালে রয়েছে অব্যবস্থাপনা। হাসপাতালের চারপাশে ময়লার ভাগাড় ও দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশ। করোনা টিকা নিয়েও আছে অব্যবস্থাপনা। ৪ মাসে পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য ৪ লক্ষ টাকা সরকারি বরাদ্দ দেয়া হলেও তা যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়নি। উপজেলার কোনো কমিউনিটি ক্লিনিকও ঠিকমতো পরিদর্শন করা হয় না।
এদিকে দায়িত্বে অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সব্যসাচী নাথকে তিরস্কার করেছেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। হাসপাতালের কিছু ডাক্তারের সহায়তায় ডেলিভারি রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে ভৎর্সনা করা হয়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অবহেলার কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন হুইপ।
গতকাল সকালে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসে আকস্মিক পরিদর্শন করে হুইপ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ, থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার, হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সব্যসাচী নাথ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, ডা. জয়দত্ত বড়ুয়া, হুইপের স্বাস্থ্য বিষয়ক সমন্বয়কারী নুরুল আবছার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ মনোয়ার, আহমদ নবী, হুইপের সহকারী একান্ত সচিব হাবিবুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় হুইপ সামশুল হক বলেন, সরকারি হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স অবহেলা ও অযত্নে দীর্ঘদিন পড়ে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পটিয়ায় টিকা কেলেঙ্কালির যে প্রচার করা হয়েছে এর জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজেই দায়ী। টিএইচও এ বিষয়ে অবগত থাকা সত্ত্বেও ভুল তথ্য ছড়িয়ে পটিয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। হাসপাতালে অভ্যন্তরে বিভিন্ন গাড়ির পার্কিং স্পেস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের দালালদের দৌরাত্ম্য চললেও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এসব দালাল পটিয়া হাসপাতাল থেকে রোগী আশপাশের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।
রাতে হাসপাতালে সন্ত্রাসী ও বখাটের উৎপাতের কথা উঠে আসে সভায়। হুইপ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বলেন, আমি ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখব। এর মধ্যে এসব সমস্যা সমাধান করতে না পারলে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতৃতীয় দিনও জমজমাট রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের উন্নয়নে চসিক ও চউক একে অপরের পরিপূরক