এক মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চট্টগ্রামে ছেলের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন বৃদ্ধা মা আয়েশা খাতুন। ছেলের অভাবের সংসার। মা সইতে পারেননি। সাংসারিক বিষয় নিয়ে ছেলের বউয়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয় তার। ছেলের বউ কথা শোনান শাশুড়িকে। এতে অপমানিত বোধ করেন তিনি। কোনো কিছু না ভেবেই এক বুক অভিমান নিয়ে ছেলের বাসা থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
চট্টগ্রাম শহর তার কাছে অচেনা। কোথায় যাবেন তা-ও জানা নেই। ৭৮ বছর বয়সী সেই অভিমানী বৃদ্ধা মাকে ২ নম্বর গেট এলাকায় রাস্তায় একাকী কাঁদতে দেখে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি নিয়ে পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া ফেইসবুকে আবেগী এক স্ট্যাটাসও দেন, যা অনেকেই শেয়ার করেন। এতেই থেমে না থেকে ওসির নির্দেশে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ বৃদ্ধা আয়েশা খাতুনের ছেলের খোঁজে বের হয়। পরে ১১ ডিসেম্বর রাতে থানায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে আয়েশাকে তার ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া আজাদীকে জানান, নগরীর দায়িত্বরত পাঁচলাইশ টহল পুলিশ টিমের চোখে পড়ে তিনি। ছেলের বাসার ঠিকানা জানতে চাইলেও কিছু বলতে পারেননি। শুধু দুই ছেলের মধ্যে সিরাজুল ইসলামের বাসায় আসছিলেন বলে জানান। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। রাতেই তার ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও স্বজনদের কাছে বৃদ্ধাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ছেলে, ছেলের বউ থানায় তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর বৃদ্ধা মায়ের সমস্ত রাগ উবে যায়।












