জুয়া হলো এমন একটি খেলা যেখানে মুহূর্তে কেউ শূন্য থেকে লাখপতি ও লাখপতি থেকে শূন্যের কোটায় নেমে আসতে পারে! আমাদের মধ্যে কে না বিপুল অর্থের মালিক হতে চায়? তাও সেটা যদি হয় স্বল্প পরিশ্রমে, সহজ পন্থায় তাহলে তো কোনো কথায় নেই! বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিশেষ করে তরুণ ও যুবসমাজ স্মার্ট ফোনের বদৌলতে, লোভের বশবর্তী হয়ে, সহজে বিপুল অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে অনলাইন ক্যাসিনো এবং বেটিং অ্যাপগুলোর পাতানো ফাঁদে পা দিচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত পারিবারিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহের ঘটনা বাড়ছে। বাড়ছে চুরি ও ডাকাতির সংখ্যা। যার চূড়ান্ত পরিণতি খুনোখুনি পর্যন্ত রূপ নিচ্ছে। পাশাপাশি বিরূপ প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের’ তথ্যমতে; ২০২২–২০২৩ অর্থবছরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৯ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন করেছে, যা আমাদের জাতীয় বাজেটের দেড়গুণের বেশি। শুধু গত ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে ৯৪ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, দেশ থেকে বছরে দুইশো কোটি টাকার বেশি পাচার হচ্ছে। যা মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মতো মারাত্মক সমস্যাগুলোর অন্যতম কারণ। সামাজিক এই ব্যাধিটি ধীরে ধীরে জাতীয় সমস্যায় রূপ নিচ্ছে। দেশের তরুণ সমাজকে এই ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য, দ্রুত এর বিহিত প্রয়োজন। সে জন্য প্রশাসনের পদক্ষেপের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে।
সংগীত কুমার
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।