অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, একজন মেধাবী, প্রাজ্ঞ, বুদ্ধিদীপ্ত অসাধারণ গুণী মানুষ হয়েও তিনি ছিলেন নিরহংকারী ও বিনয়ী। অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মানুষ হলেও তিনি সাধারণ জীবনাচার মেনে চলতেন। তাঁর মধ্যে কখনো কোনো ধরনের অহংবোধ ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্টজনদের মধ্যে অধ্যাপক খালেদ ছিলেন উল্লেখযোগ্য একটি নাম। তাঁর মতো নিখাদ ত্যাগী নিবেদিত রাজনীতিকের শ্রম মেধা ত্যাগের উপর দাঁড়িয়ে আছে আজকের আওয়ামী লীগের ভিত্তি। আওয়ামী আদর্শিক কর্মী সৃষ্টিতে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের অবদান অনস্বীকার্য।
বাংলাদেশ সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা সাবেক এমএনএ ও এমপি, দৈনিক আজাদীর প্রয়াত সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি বলেন, প্রজন্মের মাঝে গণতন্ত্রের চর্চা সমুন্নত রাখতে হলে, প্রজন্মকে মননে-মানসিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হলে তাদেরকে সংবিধান সম্পর্কে জ্ঞান দান করতে হবে। আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ গঠনে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের মতো মানুষদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মানুষকে সম্মান সমীহ করতে জানতেন অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ। আমার পিতার সাথে তাঁর আত্মার সম্পর্ক ছিল। আমার বাবা যখন পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী হয়ে সিলেট কারাগারে অকথ্য নির্যাতনের শিকার হন। তখন আমার বাবা অধ্যাপক খালেদের উপরই একমাত্র আস্থা রেখেছিলেন। আমার মারফতে তাঁর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন।
বক্তব্য দেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক মো. মাঈনুদ্দীন, আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের সন্তান সাপ্তাহিক শ্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির প্রমুখ। সভায় উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন শাহ, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. জহির উদ্দিন, খোরশেদ আলম, দিদারুল আলম চৌধুরী, আলাউদ্দিন সাবেরী, বেদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল কাদের সুজন, বোরহান উদ্দিন এমরান, নাজিম উদ্দিন তালুকদার, আবু জাফর, এম এ হান্নান, আ স ম ইয়াছিন মাহমুদ, গোলাম রব্বানী, সরোয়ার হোসেন দুলু, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানভীর হোসেন তপু প্রমুখ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।