টেকনাফে প্রতিপক্ষের হামলায় ভুট্টো বাহিনী প্রধান নিহত

টেকনাফ প্রতিনিধি | রবিবার , ১৫ মে, ২০২২ at ৯:১৪ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফে প্রতিপক্ষের হামলায় ভুট্টো বাহিনীর প্রধান নুরুল হক ভুট্টো নিহত হয়েছে। সন্ত্রাসীরা তার শরীরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এমনকি ডান পা বিচ্ছিন্ন করে দেয় তারা।

আজ রবিবার(১৫ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার সময় টেকনাফ-সাবরাং সড়কের মৌলভী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা যায়, একটি শালিসি বৈঠক শেষে পার্শ্ববর্তী সাবরাং ইউনিয়ন এলাকা থেকে ফিরছিলেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার এনামুল হকসহ সহযোগীরা।

এসময় মৌলভী পাড়া এলাকায় পৌঁছার সাথে সাথে প্রতিপক্ষ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়ার মোহাম্মদ একরাম গং মোটরসাইকেল আটকিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে ইউপি সদস্য এনামুল হক পালিয়ে বাঁচলেও তার আপন জেঠাতো ভাই নুরুল হক ভুট্টোর ডান পা বিচ্ছিন্ন করে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়।

এসময় আব্দুল শুক্কুরসহ আরো বেশ কয়েকজন দায়ের কোপে আহত হন।

গুরুতর আহত ভুট্টো ও শুক্কুরকে টেকনাফ সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় কক্সবাজার জেলা সদরে প্রেরণ করা হয়। পরে সেখানে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভুট্টোকে মৃত ঘোষণা করেন।

নুরুল হক ভুট্টোর বিরুদ্ধে টেকনাফসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

২০১৬ সালের ১৩ মে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ভুট্টো এবং তার বাহিনীর হামলার শিকার হন কক্সবাজারের কর্মরত ছয়জন টিভি সাংবাদিক।

এসময় তাদের কাছে থাকা ক্যামেরা, ল্যাপটপ সহ ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়।

হামলার দুই দিন পর ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক তৌফিকুল ইসলাম লিপু বাদী হয়ে ভুট্টোকে প্রধান আসামি করে টেকনাফ থানায় দ্রুত আইনে মামলা দায়ের করেন।

ভুট্টোর নিকটাত্মীয় সাহাব উদ্দিন জানান, গত ইউপি সদস্য নির্বাচনের জের ধরে প্রতিপক্ষ একরাম বাহিনী এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

বিষয়টি মর্মান্তিক দাবি করে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করেছে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ।

উল্লেখ্য, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মৌলভী পাড়া-নাজিরপাড়া কেন্দ্রিক কয়েকটি সিন্ডিকেট আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিবাদে জড়িত রয়েছে। বিশেষ করে মাদকদ্রব্য পাচার নিয়ন্ত্রণ ও জমি দখল-বেদখল নিয়ে ভুট্টো বাহিনী ও একরাম বাহিনীর মধ্যে হামলা-মামলা পুরনো ঘটনা বলে জানায় এলাকাবাসী।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, “একজন নিহতের ঘটনায় এখনো কেউ এজাহার দায়ের করেনি। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের আটকের জন্য জোর তৎপরতা চলছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি মামলা
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার খামার থেকে তিন ব্যক্তি অপহৃত