দেশের বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে ১৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম মোল্লা’র সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমে যাওয়ায় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবসায়ীরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে ১৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে ১৫৪ টাকা, ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ২৩ টাকা কমিয়ে ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন নির্ধারণ করা এই দাম আগামীকাল সোমবার (১৪ আগস্ট) থেকে কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে, গত ১১ জুলাই প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১০ টাকা কমিয়ে ১৭৯ টাকা করা হয় যা আগে ছিল ১৮৯ টাকা।
খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে কমে ৮ টাকা। আর ৫ লিটার বোতলের সয়াবিনের দাম ৪৩ টাকা কমিয়ে ৮৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
একইসঙ্গে খোলা পাম তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে লিটারপ্রতি নির্ধারণ করা হয় ১২৮ টাকা। বোতলজাত পাম তেলের দাম ১২ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১৪৮ টাকা।
এদিকে, আন্তর্জাতিক বাজার দর এবং স্থানীয় মিলসমূহের উৎপাদন ব্যয় বিবেচনায় চিনির দাম প্রতি কেজি ৫ টাকা কমিয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামীকাল সোমবার থেকে নতুন এই দাম কার্যকর করা হবে৷
আজ রবিবার বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপরিশোধিত চিনির আন্তর্জাতিক বাজার দর এবং স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলসমূহের উৎপাদন ব্যয় বিবেচনায় এনে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন পরিশোধিত চিনির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি ১৩৫ টাকা থেকে ৫ টাকা কমিয়ে ১৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি পরিশোধিত প্যাকেট চিনি ১৪০ টাকা থেকে ৫ টাকা কমিয়ে ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হলো।