সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে ইইই বিভাগে সেমিনার

| মঙ্গলবার , ৮ আগস্ট, ২০২৩ at ৬:৪৭ অপরাহ্ণ

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং(ইইই) বিভাগের উদ্যোগে “ডেভেলপমেন্ট অব অ্যালগরিদম টু এক্সট্রাক্ট ফিচারস ফ্রম ক্যাপনোগ্রাফ সিগন্যাল (Development of Algorithm to extract Features from Capnograph Signal)” বিষয়ক সেমিনার সম্প্রতি বিভাগীয় সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ড. হেদায়েত উল্লাহ সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রভাষক শাহীন আকতার। এসময় বিভাগের সকল শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শাহীন আকতার মানুষের শ্বাস—প্রশ্বাস সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তার গবেষণা কাজের ওপর আলোচনা করেন। যেখানে তিনি একটি ক্যাপনোমিটার তৈরি করার বাস্তব রুপরেখা প্রদান করেন যা দ্বারা নিঃশ্বাসে ত্যাগ করা বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2)-এর ঘনত্ব পরিমাপ করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির শ্বাস—প্রশ্বাসের স্বাভাবিকতা এবং অস্বাভাবিকতার অন্তর্দৃষ্টি দেয়, রোগের তীব্রতা এবং চিকিৎসার প্রতিক্রিয়া মূল্যায়নে অবদান রাখে। ক্যাপনোগ্রাফের বৈশিষ্ট্যগুলি বিভিন্ন রোগকে নির্দেশ করে যেমন হাঁপানি, সিওপিডি, স্লিপ অ্যাপনিয়া, কার্ডিওজেনিক অসিলেশন, হাইপোভেন্টিলেশন, হাইপারভেন্টিলেশন, ব্রঙ্কিওলাইটিস, পালমোনারি এমবোলিজম ইত্যাদি। এটি ভেন্টিলেশন, অ্যানেস্থেসিয়া, এন্ডোট্র্যাকিয়াল টিউব প্লেসমেন্ট, কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন, পোস্ট—অপারেটিভ কেয়ার, পেডিয়াট্রিক মনিটরিং এবং আইসিইউতে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু একজন ডাক্তারের পক্ষে ক্যাপনোগ্রাফের বৈশিষ্ট্যগুলি বিশ্লেষণ করা সময়সাপেক্ষ সেহেতু একটি ভাল এবং স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির প্রয়োজন।

সমস্যাগুলোর দিকে লক্ষ্য রেখে শাহিন আকতার তার প্রস্তাবিত পদ্ধতিটি এমনভাবে সাজিয়েছেন যা উপরোক্ত সমস্যাগুলো সমাধানে অবধান রাখে। ক্যাপনোগ্রাফের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে এন্ড—টাইডাল কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2), ন্যূনতম CO2(কার্বন ডাই অক্সাইড) শ্বাস—প্রশ্বাসের হার, সময়কাল, ক্যাপনোগ্রাফ সংকেতের অধীনে এলাকা, বিভিন্ন পরিসংখ্যানগত এবং Hjorth প্যারামিটার বিশেষ ভুমিকা রাখে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি শনাক্ত করার জন্য প্রস্তাবিত পদ্ধতিটি প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে উন্নত এবং নির্ভুল। ‘এফ ডিস্ট্রিবিউশন’ পরীক্ষাটি নিয়মিত এবং অনিয়মিত ক্যাপনোগ্রাফে ব্যবহার করা হয়েছিল যা অনিয়মিত ক্যাপনোগ্রাফগুলিকে আলাদা করে। ভবিষ্যতে, হাসপাতাল থেকে তথ্য—উপাত্ত সংগ্রহ করার পরে, এই অ্যালগরিদমটি উল্লেখিত রোগগুলিকে শ্রেণিবদ্ধ করার জন্য সমন্বয় করা হবে, যাতে এটি বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ে প্রাথমিক ইঙ্গিত দিতে সহায়তা করতে পারে।

অতিথিদের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে ইইই বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মো. রেজাউল হক খান সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামসহ চার জেলায় আগামী দুইদিন স্কুল বন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধপানির নিচে পশ্চিম বাঁশখালী