“তামিমের আচরণ বাচ্চাদের মতো”

সাকিব আল হাসান

আজাদী অনলাইন | বুধবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ১১:৪৭ অপরাহ্ণ

বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি তামিম ইকবালের। এই উদ্বোধনী ব্যাটারকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল ইনজুরি। সেটি অবশ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন তামিম।

তিনি জানান, তাকে নিচের দিকে ব্যাট করতে বলা হয়েছিল। এমনকি প্রথম ম্যাচে না খেলার কথাও বলা হয়।

এ নিয়ে অসন্তুষ্টিও ছিল তামিমের কণ্ঠে। এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

টি-স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিমের বিষয়ে এ ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, “তামিমের আচরণ ছিল বাচ্চাদের মতো।”

তামিমের বিশ্বকাপে না থাকা প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, “আমি অন্তত যখন আন্ডার-১৫ থেকে খেলা শুরু করেছি একটি জিনিস খুব ভালো করে দেখে আসছি যে প্লেয়ারটা ভালো করছে, যে দলের জন্য অবদান রাখছে এই প্লেয়ারকে বাংলাদেশ কখনই কোনোদিনই বাদ দেয়নি। সিম্পল একটা উদাহরণ দেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই, তিনি এশিয়া কাপে ছিলেন না। হঠাৎ করে বিশ্বকাপ দলে আসলেন। একটা সিরিজ খেললেন। হয়তো ওইভাবে অবদান রাখতে পারেননি যতটা প্রয়োজন ছিল। আমি মনে করি তার আরও সামর্থ্য আছে। আরও ভালো করা উচিত ছিল। যে দু’টি ম্যাচ খেলেছে দুই ম্যাচেই।”

তিনি বলেন, “উনার জন্য সেই সুযোগটা ছিল এবং ভালো মঞ্চ ছিল আরও ভালো কিছু করার। তার যে ডেডিকেশন ছিল তার দলের প্রতি যে অবদান ছিল। দলের হয়ে খেলার যে ইচ্ছে ছিল সবকিছু সবাই দেখতে পেরেছে। আমার তো দায়িত্ব না পুরো দলটা নির্বাচন করার। এমনটা হলে এশিয়া কাপের একদিন পরেই এনাউন্স করে দল দিয়ে দিতে পারতাম। এটা অনেক প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। অনেক বিষয় চিন্তা করতে হয়। অনেক কিছু চিন্তা করে দলটা গড়তে হয়।”

সাকিব আল হাসান বলেন, “তামিম বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন, প্রথম ম্যাচের একাদশে তাকে না রাখার কথা জানিয়েছিলেন বোর্ডের এক কর্মকর্তা। সেটি পছন্দ হয়নি তার। এ নিয়ে উত্তেজিত হয়েছিলেন বলেও জানান তামিম। সাকিবের অবশ্য দাবি, তামিমকে প্রথম ম্যাচে না রাখার কোনো আলোচনাই হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “এটা নিয়ে (তামিমকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে না খেলানোর) আমার কোনো আলোচনাই হয়নি। এমন প্রশ্ন কোথা থেকে এসেছে আমি জানি না। যদি এমন কেউ বলে থাকে আমি নিশ্চিত এমন কেউই বলেছে যে এই দায়িত্বে আছে এটা আগে থেকেই আলাপ করে রাখছিল যেন জানা থাকলে দুই পক্ষের জন্যই ভালো হয়। এরকম কিছু বলাতে খারাপ কিছু আছে আমি মনে করি না। এটা তো কেউ কারো খারাপের জন্য বলবে না আমি নিশ্চিত। যদি কেউ বলে থাকে দলের কথা চিন্তা করেই বলেছে যে এরকম যদি আমরা কম্বিনেশন করি, এরকম অনেক কিছুই হয় ম্যাচকে কেন্দ্র করে। আপনি এরকম কম্বিনেশন বানালে কি হতো, ওরকম কম্বিনেশন বানালে কি হয়। আমার মনে হয় না এরকম আলোচনা কোনো দোষের আছে।”

ব্যাটিং অর্ডারে তামিমের নিচে খেলা প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, “এরকম প্রস্তাব দিলে কি কোনো দোষের কিছু আছে নাকি এরকম প্রস্তাবই দেয়া যাবে না? দল আগে নাকি কোনো ব্যক্তি আগে? রোহিত শর্মা একটা প্লেয়ার ওপেনিং থেকে নাম্বার সেভেন পর্যন্ত খেলেছেন। তিনি ১০ হাজার রান করে ফেলেছেন। ও যদি তিন-চারে খেলে বা ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নামে তাহলে কী খুব বেশি প্রবলেম হয়? এটা আসলে আমার কাছে মনে হয় বাচ্চা মানুষের মতো… আমার ব্যাট আমিই খেলব… আর কেউ খেলতে পারবে না। দলের প্রয়োজনে যে কারোর যেকোনো জায়গায় খেলতে রাজি থাকা উচিত। দল সবার আগে। আপনি একশো করলেন দুইশো করলেন এটা কোনো পার্থক্য গড়ে দেয় না।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়ি হাসপাতালে আবারও রোগীর গলার চেইন চুরি করতে গিয়ে মহিলা আটক
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম-কলকাতা ফ্লাইটে আপ-ডাউন ভাড়া সাড়ে ৬৮ হাজার টাকা!