রাঙ্গুনিয়ায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার(৩০ জুন) সকালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম আরিফা মনি প্রকাশ রিয়া (১৯)। সে ওই এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ফার্নিচার মিস্ত্রি মো. নাছির উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করার পর ময়নাতদন্ত শেষে আজ রাত ৮টার দিকে জানাজা নামাজ শেষে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় তার মরদেহ দাফন করা হয়।
জানা যায়, চলতি বছরের ২৮ মার্চ রাঙ্গুনিয়ার নাছির উদ্দিনের সাথে আরিফা মনির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আরিফা রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড তালুকদার বাড়ি এলাকার বাবুর্চি মনির আহমেদের দ্বিতীয় মেয়ে।
আসন্ন কোরবানি ঈদে ছাগল দেয়াকে কেন্দ্র করে আরিফার সাথে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, এই মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে তার চাচাতো ভাই মো. বাদশা বলেন, “বড় আব্বুর ৪ মেয়ে, কোনো ছেলে সন্তান নেই। বাবুর্চি কাজ করে মেয়ে বিয়ে দেওয়া উনার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এলাকার মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয় করে বিয়ে দিয়েছিলাম। এরমধ্যে কোরবানি ঈদের ছাগল দাবি করছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বড় আব্বুর সামর্থ্য নেই, দিতে পারবেন না বলেছিলেন। আরিফার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলেছিলেন এবার না হলে আগামী বছর দিতে। বড় আব্বু রাজি হননি। এর জের ধরে আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে আমাদের খবর দেওয়া হয়। আমরা বোনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখি মরদেহ নিচে, কানে-নাকে রক্ত ছিল।”
তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানায়, গৃহবধূ আরিফা তুচ্ছ বিষয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সকলের অগোচরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম বলেন, “গৃহবধূর মৃত্যুর সংবাদে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”
