রাঙ্গুনিয়ায় বন্যহাতির বিরুদ্ধে জিডি(সাধারণ ডায়েরি) করেছেন অনন্ত চৌধুরী নামে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
আজ শুক্রবার(১ জুলাই) দুপুরে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় তিনি এ জিডি করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক অনন্ত চৌধুরী জানান, তিনি উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের বড়খোলা পাড়ায় ২০ একর জমিতে একটি আম বাগান করেছেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন জাতের আমের আবাদ করেন। বর্তমানে বাগানে আমের ফলন ভালো হয়েছে, আমও পাকতে শুরু করেছে। আমগুলো বাজারজাত করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি কিন্তু এ সময় বাগানে হানা দিতে শুরু করেছে বন্যহাতি।
গত দুইদিনে তার বাগানের অধিকাংশ আম গাছ উপড়ে ফেলে এবং আম খেয়ে সাবাড় করেছে বন্যহাতিগুলো। এতে তার প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তাই বন্যহাতির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে থানায় জিডি করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, “হাতি শুধু আমার বাগানে নয়, আশেপাশের অনেকের বাগানে হানা দিচ্ছে। প্রায়শই হাতির কবলে পড়ছে মানুষ। গত কয়েকদিন আগেও হাতির হামলায় নারিশ্চা এলাকায় এক কৃষক মারা গেছেন। এভাবে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন হাতির আক্রমণে। হাতিগুলো কৃষকের রক্ত পানি করা সোনার ফসল নষ্ট করে প্রতি বছর। মানুষের ঘরবাড়ি নষ্ট করে দিচ্ছে তারা যার ফলশ্রুতিতে শত শত একর ফসলি জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে। এভাবে হাতি অত্যাচার চালালে আমাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে।”
জিডি’র সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওবাইদুল ইসলাম বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান।
উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেন, “হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে ও মানুষকে সচেতন করতে নিয়মিত কাজ করছে বন বিভাগ এবং হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়মিত ক্ষতিপূরণও দিচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেও হাতির আক্রমণে ফসলহানির ঘটনায় ১১ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। এই শিক্ষকের বিষয়টিও তদারকি করে প্রয়োজনে তার ফসলহানির ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করব।”