রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড পাঠানবাড়ি এলাকায় দুই পক্ষের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে মো. জাফর উল্লাহ খান (৭৪) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা, তার স্ত্রী কুদ্দুস বেগম (৬২), পুত্র মাইমুন বিল্লাহ খান (৩৩), সাইমন উদ্দিন খান (৩৫) ও নাতি আবদুল্লাহ খান (২২) আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, প্রতিপক্ষেরও ৯ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
এই ঘটনায় আজ রবিবার(১৫ এপ্রিল) সকালে দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর উল্লাহ খানের সাথে একই এলাকার তৈয়ব উদ্দিন খান (৪০) গংদের সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত ১৪ মে রাতে স্থানীয় পাঠানবাড়ি মসজিদের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর উল্লাহ খান এবং তার স্ত্রী-দুই পুত্র ও নাতি আহত হয়।
অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের কয়েকজনও এই ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মাইমুন বিল্লাহ খানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রতিপক্ষের তিনজনও চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানায় তারা।
এই ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর উল্লাহ খান বলেন, “আমার বসতঘরে দেশীয় অস্ত্র হাতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে গুরুতর আহত করা হয়। এমনকি পাঠানবাড়ি মসজিদের সামনে আমার নাতি ও পুত্রদের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আজ আমাকে সপরিবারে হামলার স্বীকার হতে হলো। আমি তার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিপক্ষের তৈয়ব উদ্দিন খান বলেন, “তাদের উপর হামলার ঘটনাটি মিথ্যা। বরং তারাই বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের পরিবারের ৯ জন সদস্যকে আহত করেছে। আহতদের মধ্যে আমি সহ আমার ভাই ওয়াহেদ উল্লাহ খান এবং এক ভাতিজা বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। আমাদের মারতে এলে প্রতিরোধের মুখে তাদেরও কয়েকজন সামান্য ব্যাথা পেয়েছেন।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। দু’পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”