পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(পিসিজেএসএস) সন্তু গ্রুপ এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসীত গ্রুপের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছে।
২৪ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম বিনয় চাকমা বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে জেলার লংগদু উপজেলা এবং খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিনয় নানিয়ারচর উপজেলার বালুমুড়া এলাকার রূপেন বিকাশ চাকমার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পিসিজেএসএস-ইউপিডিএফ উভয় গ্রুপ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় গুলিবিনিময়ের ঘটনায় ইউপিডিএফ’র সশস্ত্র সদস্য বিনয় চাকমা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
অপরদিকে, আজাদী’র কাপ্তাই প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটি পার্বত্য জেলাধীন কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরমে আজ সোমবার হঠাৎ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় জনগণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটতে পারে এই আশঙ্কায় চিৎমরম বাজারের প্রায় সব দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে পড়েন। খবর পাওয়ার সাথে সাথে কাপ্তাই ৪১ বিজিবি’র একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। চন্দ্রঘোনা থানার পুলিশ সদস্যরাও চিৎমরম এলাকায় উপস্থিত হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিৎমরম বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন, গোলাগুলির শব্দে আমরা প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেছি। তবে দ্রুত বিজিবি এবং পুলিশ সদস্যরা এসে পৌঁছায় আমরা কিছুটা নিশ্চিন্ত হই। ঘটনার পর বিজিবি এবং পুলিশ সমগ্র এলাকায় টহল জোরদার করেছে বলে জানা গেছে।
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, “লোক মুখে জেনেছি চিৎমরমের জঙ্গল এলাকায় সোমবার দুপুর প্রায় আড়াইটার সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে আমরা গুলির কোনো আলামত পাইনি। কে কার উদ্দেশ্যে এবং কেন দিনদুপুরে গুলি ছুড়েছে তাও বোঝা যায়নি। শব্দটি আদৌ গুলির ছিল নাকি কেউ আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য পটকা ফুটিয়েছে সেটাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পুলিশ এবং বিজিবি ঘটনাটিকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। এলাকায় কেউ যাতে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।”
চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী বলেন, “গত ইউপি নির্বাচনের পূর্বে চিৎমরমে সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মারা যান। সেই থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনলে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।”
তবে বিজিবি এবং পুলিশ উপস্থিত হওয়ায় মানুষের মন থেকে আতঙ্ক অনেকটা দূর হয়েছে বলেও জানান তিনি।