রোজার মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মজুদ ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “কোনো পণ্যের সংকট হবে না, মূল্যও বৃদ্ধি পাবে না। ভোক্তারা যদি একসাথে বেশি পণ্য না কেনে, তাহলে বাজারে পণ্যের ওপর একসাথে বেশি চাপ পড়বে না। সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে পণ্য ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক পণ্য দেশে এসেছে, কিছু পণ্য পথে আছে এবং কিছু ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলছে। ভোক্তারা স্বাভাবিক পরিমাণে পণ্য কিনলে কোনো সমস্যা হবে না।”
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বা স্বাভাবিক সময়ে কোনো ব্যবসায়ী যদি কোনো ধরনের অবৈধ মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে, মূল্যবৃদ্ধি করার চেষ্টা করে- তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
আজ রবিবার (২২ জানুয়ারি) রংপুরে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে টিপু মুনশি এসব কথা বলেছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গ্যাসের দাম এক ধাপেই ১৭৮ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়ায় শিল্পের উৎপাদনে কিছুটা প্রভাব পড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, “নতুন এ দর পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”
গ্যাসের পাশাপাশি বিদ্যুতের ‘ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের’ চেষ্টা চলার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “উৎপাদন ব্যয়ের সাথে সমন্বয় করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে অর্থনীতিতে কিছুটা প্রভাব পড়া স্বাভাবিক। গ্যাস দিয়ে যেসব পণ্য উৎপাদন করা হয় সেসব পণ্যের মূল্যের উপর কিছুটা প্রভাব পড়বে। নতুন করে গ্যাসের দাম নির্ধারণে আলোচনা চলছে। দেশের মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য নিশ্চিত করা চেষ্টা চলছে।”
চলতি মাসেই নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্প সংযোগ ও বাণিজ্যিক সংযোগে গ্যাসের দাম ১৭৮ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট প্রায় ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এ দাম কার্যকর হওয়ার কথা।
স্বাধীনতার পর এবারই গ্যাসের দাম সর্বোচ্চ বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর এক সপ্তাহের মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো। এতে দেশে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি ঘটা, রফতানি সক্ষমতা কমে যাওয়া ও উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার মত আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রংপুর চেম্বার অভ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ১২০টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা দর্শনাথীদের জন্য খোলা থাকবে।