জোরারগঞ্জ থানায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে মো. হারুন নামে এক কবিরাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার (৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন।
আসামি একই থানার মধ্যম আজমনগর ছুনিমিঝির বাড়ির মৃত মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। রায়ের সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি জোরারগঞ্জ থানার মধ্যম আজমনগর ছুনিমিঝির বাড়ির মো. হারুন কবিরাজের কাছে পানির মোটর চুরির বিষয়ে আয়না পড়ার জন্য গেলে একজন কুমারী লাগবে বলেন। পরদিন ভিকটিম ১১ বছরের এক শিশুকে নিয়ে যায়। প্রথমে কিছুক্ষণ ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ লিখে দেন। পরে মো. হারুন কবিরাজ নিজের ঘরে নিয়ে তেল মালিশের নাম করে তাকে ধর্ষণ করে।
ভিকটিমের আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় একই বছরের ২৪ জানুয়ারি মামলা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পিপি খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, “আটজনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে মো. হারুন নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৩ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। জরিমানার টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে।”