চন্দনাইশে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর ঘাতক স্বামী আত্মগোপন করেছিলেন। দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে করছিলেন কৃষি কাজ। সেখানেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সোমবার(৩০ মে) সকালে চন্দনাইশ থানার একদল পুলিশ দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
রেজিয়া বেগম (৫৫)কে এস এস আবদুস সাত্তার (৭০)
জানা যায়, গত ৭ মে সন্ধ্যায় চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড পশ্চিম এলাহাবাদ বাতুয়ারপাড়ার মৃত ওয়াহেদ আলীর পুত্র রিকশাচালক এস এস আবদুস সাত্তার(৭০) তার স্ত্রী রেজিয়া বেগম(৫৫)কে নিজ ঘরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর স্থানীয়রা রেজিয়া বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ঘাতক আবদুস সাত্তারের মেয়ে কামরুন্নাহার রুমা বাদি হয়ে পরদিন ৮ মে মাকে হত্যার দায়ে পিতাকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আবদুস সাত্তার বান্দরবান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন।
সর্বশেষ দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া এলাকায় তার কৃষি কাজ করার সংবাদ গোপন সূত্রে পেয়ে তার অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ।
আজ সোমবার সকালে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার সহযোগিতায় চন্দনাইশ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, স্ত্রী হত্যার আসামী আবদুস সাত্তার গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিল। সর্বশেষ তাকে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে নিয়ে আলামত উদ্ধারে অভিযান চলছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানিয়েছেন ওসি।