উপকূলের সাড়ে নয়শ’ কিলোমিটারের মধ্যে ‘মোখা’

সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর সংকেত

আজাদী অনলাইন | শুক্রবার , ১২ মে, ২০২৩ at ৫:২৩ অপরাহ্ণ

ঘণ্টায় দেড়শ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ উপকূলের সাড়ে নয়শ’ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা যেমন ধারণা করেছিলেন, সেভাবেই উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকের গতিপথ বদলে বাঁক নিয়ে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে এই ঘূর্ণিবায়ুর চক্র।

এভাবে চললে আগামী রবিবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে উপকূলে আঘাত হানার সময় মোখার বাতাসের শক্তি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

তবে টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার বলছে, সেই সময় ২০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে মোখার ঘূর্ণিবাতাসের শক্তি।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

সেই সময় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার, যা দমকা আর ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।

আজ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টায় এ ঝড় এগিয়েছে মোটামুটি ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার গতিতে। বর্তমান অবস্থান থেকে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে হতে মোখা আরও ঘনীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার সময় প্রচুর বৃষ্টি ঝরাবে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় নিচু এলাকা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ২.৭ মিটার বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পরে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম নৌ পুলিশের মাইকিং
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-২