লোহাগাড়ার পদুয়া হতে অপহৃত ১৪ বছরের নাবালিকা ৭ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ মে) পটিয়া থানাধীন একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলো পটিয়া থানার বরুলিয়া এলাকার মৃত আলমগীরের পুত্র তারেক হোসেন (২৫) ও আশ্রয়দাতা একই এলাকার মৃত আবদুল সাত্তারের পুত্র মো. রহিম বাদশা (৪৩)।
র্যাবের দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতে তারেক হোসেন। তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গত ১৮ মে সকাল ১০টার দিকে স্কুলের যাবার পথে আসামী তারেক ও তার কয়েকজন সহযোগী ভিকটিমকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে যায়।
ঘটনার পরদিন ভিকটিমের পিতা লোহাগাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা তার মেয়েকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করতে র্যাব বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তারই প্রেক্ষিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, ভিকটিমকে অপহরণের সময় আসামী রহিম বাদশা মামলার প্রধান আসামী তারেক হোসেনের সাথে ছিল। আসামী রহিম বাদশা নিজে তাদেরকে কক্সবাজারের উখিয়া থানার গহীন পাহাড়ের নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। র্যাব সেখানে অভিযান পরিচালনা করলে তারা ভিকটিমকে নিয়ে পালিয়ে পটিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় চলে আসে।
পরবর্তীতে আসামী রহিম বাদশাসহ চক্রের অন্য সদস্যরা মুক্তিপণ দাবি করার পরিকল্পনা করে। মুক্তিপণ না পেলে ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনাও করেছিল।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, ভিকটিম ও গ্রেফতার অপহরণকারী দুইজনকে থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব।
আজ বুধবার (৩১ মে) সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ভিকটিমকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।