চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পূর্ব জঙ্গল এলাকায় হাবিব উল্লাহ (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার মৃত্যু কাঁকরোল চুরির ঘটনায় নাকি স্ত্রীকে নির্যাতনের চেষ্টার ঘটনার কারণে হয়েছে তা এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মৃত্যুবরণকারী হাবিব উল্লাহ চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মজিদের পুত্র।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা সংঘটিত হলেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে মঙ্গলবার গভীর রাতে।
বুধবার বিকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী, পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব জঙ্গল চাম্বলে কাঁকরোল ক্ষেতে কাজ করতে যায়, হাবিব ও তার স্ত্রী রোকসানা। এ সময় স্থানীয় তিনজন রোকসানাকে নির্যাতনের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেন রোকসানা। পরে স্ত্রীকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাকে মারধর ও থানার সামনে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয় বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন নিহত হাবিবের স্ত্রী রোকসানা।
অপর পক্ষ অভিযোগ করে, ক্ষেতের কাকরোল চুরির অভিযোগে স্থানীয় কিছু লোক হাবিব উল্লাহকে মারধর করে। এরপর অপমান সইতে না পেরে হাবিব উল্লাহ বিষপান করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহত হাবিবুল্লাহর স্ত্রী রোকসানা আক্তার অারো বলেন, “এলাকার দোস মোহাম্মদ, আব্দুল কাদের এবং সাকিব আমার স্বামীকে প্রচণ্ড মারধর করে ও মুখে বিষ ঢেলে দেয়। হাবিব অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতালে ও পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন।”
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাম্বলের ৯নং ওয়ার্ড এলাকা হতে আজিজ আহমদের পুত্র দোস মোহাম্মদ (৩৫), আবুল বশরের পুত্র আব্দুল কাদের (২৭) এবং আবদুল জলিলের পুত্র মো. সাকিব(২০)কে পুলিশ আটক করেছে।
ঘটনার ব্যাপারে চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবুর হক চৌধুরী বলেন, “ক্ষেতের কাকরোল চুরির অভিযোগে হাবিবুল্লার নামের একজনকে মারধরের ঘটনা শুনেছি। অপমান সইতে না পারে সে বিষপানে করলে পরিবারের সদস্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।”
এদিকে, সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. কামরুল হাসান, বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন সহ তদন্তকারী পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “নিহত হাবিবুল্লার স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনপূর্বক ঘটনার সাথে যারা জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।”