অধ্যাপক খালেদ ছিলেন নিখাদ দেশপ্রেমিক

অধ্যাপক খালেদ শিশুমেলা উদ্বোধনে ওয়াহিদ মালেক

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১ জুলাই, ২০২২ at ৯:০৭ অপরাহ্ণ

দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক বলেছেন, “অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকে নিয়ে আমরা গর্বিত। আমরা তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তিনি ছিলেন নিখাদ দেশপ্রেমিক, মানবিক ও উচ্চমাপের মানুষ। অসাধারণ এ মানুষটি জীবনযাপন করেছেন খুব সাধারণভাবে।”

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আজ শুক্রবার(১ জুলাই) সকালে অধ্যাপক খালেদ শিশুমেলা উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, দৈনিক আজাদীর সাবেক সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের জন্মশতবার্ষিকীতে চট্টগ্রাম একাডেমি এ শিশুমেলার আয়োজন করে।

ওয়াহিদ মালেক আরো বলেন, “তাঁর সান্নিধ্য পাওয়া ছিল অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমরা তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমাদের লক্ষ্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের মতো মানুষের আদর্শ অনুসরণ করা কারণ তাঁদের জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।”

তিনি বলেন, “আমি আজকে এ অনুষ্ঠানে এসে দেখলাম যে সময়ে অনুষ্ঠান শুরু করার কথা ঠিক সেই সময়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এটা অনেক ভালো একটি দিক। কেননা আমরা যাই করব আমাদের বাচ্চারাও তাই করবে, তাই শিখবে। আমাদের কাছ থেকেই তারা এ শিক্ষাটুকু নেবে। অভিভাবক হিসেবে যদি আমি ভালো না হয়ে থাকি, আমি যদি অসৎভাবে চলি তখন আমাদের বাচ্চারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে না। এজন্য আমাদের অভিভাবকদের অনেক সচেতনভাবে চলতে হবে।”

ওয়াহিদ মালেক বলেন, “আমার দাদা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল খালেক দৈনিক আজাদী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চট্টগ্রামের কথা বলার জন্য। চট্টগ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখের কথা বলার জন্য। আমরা এখনো সেই পথেই আছি। দৈনিক আজাদী সম্পাদক আমার বাবা এমএ মালেকের নেতৃত্বে আমরা সেই চট্টগ্রামের কথা বলার জন্যই আজাদীকে মুখপত্র হিসেবে ধরে রেখেছি। সেই কারণেই হয়তো আমরা চট্টগ্রামের মানুষের মন জয় করে আছি।”

আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা কবি রাশেদ রউফ, অধ্যক্ষ রীতা দত্ত, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের সন্তান সাপ্তাহিক স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির, মোহাম্মদ মুনীর ও মোহাম্মদ জোবায়ের, অধ্যাপক মৃণালিনী চক্রবর্তী, গল্পকার বিপুল বড়ুয়া, লেখক এসএস আবদুল আজিজ, অধ্যাপক কাঞ্চনা চক্রবর্তী, কবি শারুদ নিজাম, গল্পকার মিলন বণিক, অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু, লেখক এসএম মোখলেসুর রহমান, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক বাসুদেব খাস্তগীর, প্রাবন্ধিক রেজাউল করিম স্বপন, গল্পকার ইফতেখার মারুফ, প্রাবন্ধিক ফেরদৌস আরা রীনু, অধ্যাপক সুপ্রতিম বড়ুয়া, কবি মাহবুবা চৌধুরী, গল্পকার রুনা তাসমিনা, কবি লিপি বড়ুয়া, শিশুসাহিত্যিক লিটন কুমার চৌধুরী, কবি সুমি দাশ, কবি বিবেকানন্দ বিশ্বাস, শিপ্রা দাশ, সাংবাদিক ইসমাইল জসীম, এম কামাল উদ্দিন, ফারহানা ইসলাম রুহী, আবিদা সুলতানা, খালেছা খানম, অপু চৌধুরী, সাংবাদিক আরিফ রায়হান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শিশুদের পাশাপাশি কবি, শিশুসাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংগঠক, সংস্কৃতিকর্মী ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষের উপস্থিতিও ছিল দেখার মতো।

বর্ণিল এ শিশুমেলায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিশুরা তাদের কোমল হাতে রঙের তুলিতে ফুটিয়ে তোলে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের ছবি, আঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি। আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগীদের কণ্ঠে মূল সুর ছিল দেশপ্রেম।

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ জন্মশতবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হবে আগামী বুধবার(৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায়।

প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে পুরস্কার ও সনদপত্র দেওয়া হবে। সবাইকে দেওয়া হবে অংশগ্রহণ সনদ ও পুরস্কার হিসেবে বই উপহার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব ড. অনুপম সেন, এমএ মালেক, ড. মাহবুবুল হক, অধ্যাপক আবুল মোমেন ও ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনন্দনকানন ইসকনের রথযাত্রার রজতজয়ন্তী উদযাপিত
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যম্পিয়নশিপের ফাইনালে চট্টগ্রাম