কাপ্তাইয়ে খোলা হয়েছে ১৯ আশ্রয় কেন্দ্র

টানা ভারী বর্ষণ

কাপ্তাই প্রতিনিধি | রবিবার , ১৯ জুন, ২০২২ at ৬:৫২ অপরাহ্ণ

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাইয়ে ভারি বৃষ্টিপাত থামছেই না। গত তিন দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই অবস্থায় যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধস সহ যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কাপ্তাইয়ের ৫টি ইউনিয়নে শতাধিক পরিবার চরম ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের ঢালে বসবাস করছে। পাহাড় ধসসহ যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাধারণ মানুষকে তাৎক্ষণিক যাতে আশ্রয় দেওয়া যায় সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাবার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন মাইকিং করে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান বলেন, “পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। যেভাবে প্রতিদিন লাগাতার ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে এর ফলে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ রবিবার (১৯ জুন) বিশেষ আইনশৃঙ্খলা এবং দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। এই সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সকল ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।”

তিনি জানান, ভারি বৃষ্টিপাত চলাকালে যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কাপ্তাই উচ্চবিদ্যালয়, বিএফআইডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শীলছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়াগ্গা উচ্চবিদ্যালয়, ওয়াগ্গা ইউনিয়ন পরিষদ, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ, খ্রিস্টিয়ান হাসপাতাল, চিৎমরম উচ্চ বিদ্যালয়, চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদ, রিফিউজিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, কারিগর পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাল্লুকিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, “যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। দমকল বাহিনী, পুলিশ, আনসার, বিজিবি সদস্যরাও পরিস্থিতি মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক তৈরি আছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিচ্ছেন। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পাঁচ শতাধিক পরিবারকে আশ্রয় দেয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পরিবারকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়নি।”

পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলতাফ হোসেন ভারি বৃষ্টিপাত আরো ২ দিন টানা চলতে পারে জানিয়ে এই অবস্থায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

জীবনহানি এড়াতে যেকোনো উপায়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটানা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পরবর্তী নিবন্ধকরোনা আবার বাড়ছে