আইপিএল-এর ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করল গুজরাট টাইটান্স।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স থেকে বের হয়ে নতুন দল গুজরাট টাইটান্সে যোগ দেন হার্দিক পান্ডিয়া। আর সেই নতুন দলকে উপহার দিলেন আইপিএলের শিরোপা।
গত রাতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার খেলতে এসেই শিরোপা জিতে নিল গুজরাট। এ যেন এলেন, দেখলেন আর জয় করলেন।
নতুন দল হলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য একেবারে উপযোগী বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে দলে নিয়ে দল বদলে যে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছিল গুজরাট তার ফল পেল মাঠের খেলায়।
বাঘা বাঘা প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে অভিষেকেই চমক দিল গুজরাট টাইটান্স। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে আসা রাজস্থান রয়্যালস ফাইনালে এসে যেন খেই হারিয়ে ফেলল।
প্রথম কোয়ালিফায়ারে কিছুটা লড়াই করে হারলেও ফাইনালে একেবারে আত্মসমর্পণ করল রাজস্থান। আর তাতেই ইতিহাস গড়ল গুজরাট। আইপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন এখন হার্দিক পান্ডিয়ার দল।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা রাজস্থান রয়্যালস শুরুটা খারাপ করেনি।
দুই ওপেনার জসওয়াল এবং বাটলার ৩১ রান করে বিচ্ছিন্ন হন। ২২ রান করে ফিরেন জসওয়াল।
অধিনায়ক স্যামসনকে নিয়ে ২৯ রান যোগ করেন বাটলার। স্যামসন ফিরেন ১৪ রান করে।
এরপর অবশ্য বড় ইনিংস খেলতে পারেননি রাজস্থানের ব্যাটাররা। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বাটলার ফিরেন ৩৯ রান করে। এই রান মেশিন ফিরে আসার পর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান রয়্যালস। ফলে ১৩০ রানে থামে দলটি।
দলের অন্যান্যের মধ্যে হেটমায়ার ১১, পরাগ ১৫ এবং ট্রেন্ট বোল্ট করেন ১১ রান।
গুজরাট টাইটান্সের পক্ষে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া নেন ১৭ রানে ৩ উইকেট। ২০ রানে ২টি উইকেট নেন কিশোর।
জবাবে ব্যাট করতে নামা গুজরাট শুরুতেই উইকেট হারায়। রিদ্দিমান শাহা ফিরেন ৫ রান করে। ম্যথু ওয়াডেও ফিরেন ৮ রান করে।
তৃতীয় উইকেটে শুভমান গিল এবং হার্দিক পান্ডিয়া মিলে যোগ করেন ৬৩ রান। ৩০ বলে ৩৪ রান করে ফিরেন হার্দিক। এরপর গিল এবং মিলার মিলে দলকে পৌঁছে দেন বিজয়ের বন্দরে। আর তাতেই প্রথমবার আইপিএলে অংশ নিয়ে শিরোপা জয়ের ইতিহাস গড়ে গুজরাট টাইটান্স। ৪৩ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন শুভমান গিল। আর মিলার অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ৩২ রান করে।