নগরীর কোতোয়ালী থানার হাজারী লেনের একটি মার্কেটে ক্রেতা সেজে ১৫ লাখ টাকার স্বর্ণ চুরির অভিযোগে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ওই মার্কেটে একটি স্বর্ণের দোকানের মালিকের সঙ্গে ক্রেতা সেজে সখ্য গড়ে তোলেন আমির নামে এক ব্যাক্তি। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসে স্বর্ণ কিনবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বিক্রেতার দোকানের নিকটবর্তী জায়গায় লুকিয়ে ফোন করে আরেকটি নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে তার কাছ থেকে টাকা আনতে বলেন। তার কথামতো বিক্রেতা দোকান খোলা রেখে টাকা আনতে গেলে দোকান থেকে ১৯ ভরি ৫ আনা ৪ রত্তি স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়ে যান যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ টাকা।
চুরি হওয়া ১৯ ভরি ৫ আনা ৪ রত্তি স্বর্ণালংকার উদ্ধার ও আমির হােসেন (৩৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির। গ্রেফতার মো. আমির হোসেন নগরীর চান্দগাঁও থানার মধ্যম মোহরা অচি মিস্ত্রির বাড়ির মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
ওসি জাহিদুল কবির জানান, মঙ্গলবার সকালে নগরীর হাজারী লেনের হাজারী মার্কেটের মেসার্স উদয়ন জুয়েলার্স নামের দোকান থেকে ১৯ ভরি ৫ আনা ৪ রত্তি ওজনের স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। চুরির ঘটনায় থানায় মামলার দায়ের করার পর আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় নগরীর ওয়াসা রোডের মোহরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আমির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে একটি চায়ের দোকানের ক্যাশের ভেতরে লুকানো অবস্থায় ১৯ ভরি ৫ আনা ৪ রত্তি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোমিনুল হাসান বলেন, আজ মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে আমির হােসেনকে গ্রেফতার করা হয়। আমির দোকান থেকে স্বর্ণালংকার চুরি করার কথা স্বীকার করে। আমির হােসেনের দেখানো মতে শাহ আমানত হোটেল এন্ড ঝাল বিতানের ক্যাশবাক্সের ভিতর থেকে চোরাইকৃত ১৯ ভরি ৫ আনা ৪ রত্তি স্বর্ণালংকার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমির হােসেন একজন পেশাদার চোর। সে ইতিপূর্বে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১০০ থেকে ১৫০টি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে কোথাও কোনো জুয়েলারি দোকান, মুদির দোকান খোলা দেখলে ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে এবং দোকানদারকে ব্যস্ত রেখে কৌশলে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন চুরি করে। পাশাপাশি কোনো বাসা-বাড়ির দরজা খোলা দেখলে কৌশলে ঢুকে বাসার ভেতর থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার চুরি করে।”