সাগরে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আভাস দেয়া হয়েছে। আর তখন এর নাম হবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ (Mocha)।
বাংলাদেশের স্থলভাগে তাপপ্রবাহ বয়ে চলার মধ্যে সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোসাগর ও এর সংলগ্ন আন্দামান সাগরে লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়।
তখন থেকে এর আরও ঘনীভূত হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল। আজ মঙ্গলবার (৯ মে) এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়।
এটি আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে আজ মঙ্গলবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়।
এদিন সন্ধ্যা ৬টায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এর পরবর্তী গতিপথ নিয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, “নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ১১ মে পর্যন্ত উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।”
নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঝড়-জ্বলোচ্ছ্বাসপ্রবণ বাংলাদেশে মূলত এপ্রিল থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এ সময়ে উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড় ও প্রচুর বৃষ্টিপাতও হয়ে থাকে। আবার ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল, জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের ঝুঁকিও তৈরি হয়।
বর্তমানে সাগরের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তার নাম হবে ইয়েমেনের দেওয়া মোখা।
আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়।
গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যানদাউস’ ভারতের তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়েছিল যার প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি।