জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধ বসতি উচ্ছেদের প্রতিবাদে স্থানীয়দের করা মহাসড়ক অবরোধ পুলিশের লাঠিচার্জে উঠে গেছে।
অবরোধের সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর পুলিশের লাঠিচার্জ শুরু হলে মহাসড়ক ছেড়ে পালিয়ে যায় অবরোধকারীরা।
আজ মঙ্গলবার(২৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফৌজদারহাটে মহাসড়কে অবস্থান নেওয়া অবরোধকারীদের সরিয়ে দিলে সচল হয় যান চলাচল।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে ফৌজদারহাটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দারা।
জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ ঠেকাতে সড়ক অবরোধ করে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করার দাবিতে বিক্ষোভ করে তারা।
এতে মহসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছিল একটি অসাধু সিন্ডিকেট। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আসলে কয়েক দফা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এসব অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
এর প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে তারা।
পরে পুলিশ ও প্রশাসন সমঝোতার মাধ্যমে তাদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করলেও আন্দোলনে অনড় থাকে অবরোধকারীরা।
মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ ধাওয়া করে এবং টিয়ারশেল ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় অবরোধকারীদের।
সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম বলেন, “বিদ্যুতের দাবিতে জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দারা প্রায় ৪ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। তাদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলে সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করি। সব ধরনের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক করতেই আমাদের কঠোর হতে হয়েছে।”